জাতীয় ডেস্কঃ
দশম জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশন আগামীকাল রবিবার বিকাল ৪টায় শুরু হবে। গত ২৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আজ শনিবার এ অধিবেশন আহবান করেন।
জাতীয় সংসদের এ অধিবেশন ৬০ দিনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য আহ্বান করা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ি এক অধিবেশন সমাপ্তির পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন বসতে হবে। ফলে এ অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে সংবিধান অনুযায়ি বছরের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করতে হবে। আর ওই অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দিবেন। ওই ভাষণের ওপর নিয়ম অনুযায়ি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। রেওয়াজ অনুযায়ি বছরের প্রথম অধিবেশন দীর্ঘ হয়ে থাকে। ফলে অষ্টাদশ অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হওয়ারই কথা রয়েছে।
সংক্ষিপ্ত হলেও এ অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিল পাস ও উত্থাপন হতে পারে। এছাড়া সমসাময়িক বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। অবশ্য আগামীকাল বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সংসদ কার্য উপদেষ্টা কমিটির সভায় এ অধিবেশনের মেয়াদ ও কার্যক্রম নির্ধারণ করা হবে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর দশম জাতীয় সংসদের সপ্তদশ অধিবেশন শেষ হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই অধিবেশন শুরু হয়। মোট ৫ কার্যদিবসের সপ্তদশ অধিবেশনে ২টি সরকারি বিল পাস হয়। বিল দু’টি হচ্ছে ফৌজদারি কার্যবিধি (সংশোধন) বিল-২০১৭ ও স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল বিল-২০১৭।
আইন প্রণয়ন সম্পর্কিত কাজ সম্পাদনের পাশাপাশি কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে ১৪৭টি নোটিশের মধ্যে ৬টি গৃহীত হয়। এর মধ্যে ৩টি আলোচিত হয়। এছাড়া ৭১ (ক) বিধিতে দুই মিনিটের আলোচিত নোটিশের সংখ্যা ছিল ৩০টি।
সংসদের ১৭তম অধিবেশনে সংসদ কার্য প্রণালী বিধির ১৪৭ (১) বিধির আওতায় রোহিঙ্গা সমস্যা ও ষোড়শ সংশোধনী সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিষয়ে সংসদে প্রাণবন্ত ও কার্যকর আলোচনার মাধ্যমে দুইটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। বাসস