স্বাস্থ্য:
দাঁতে ব্যথা
প্রথমে যা করতে পারেন :পানিতে লবণ দিয়ে গার্গল করুন। এরপর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
চিকিৎসা: খয়ের, গোলমরিচ একত্রে সমপরিমাণে চূর্ণ করে ওই চূর্ণ দিয়ে দাঁত মাজলে আরাম হয়। সমপরিমাণ বকুল পাতা ও পেয়ারা পাতা ১/২ লিটার জল দিয়ে সিদ্ধ করে ওই জলটা ঈষদুষ্ণ অবস্থায় এলে তা দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার হয়।
দাঁত নড়া
প্রথমে যা করতে পারেন :নড়া দাঁত জোর করে টেনে তোলার চেষ্টা করবেন না। রক্তপাত হতে পারে। নুন জলে কুলকুচি করুন। নড়া দাঁত ২-১ দিন অপেক্ষা করলে অনেক সময় নিজ থেকেই পড়ে যায়।
চিকিত্সা :বাবলা ছাল ও পেয়ারা গাছের ছাল একত্রে থেঁতো করে দাঁতের গোড়ায় লাগালে কিংবা সুপারি ভস্ম ও গোলমরিচ চূর্ণ একত্রে মিশিয়ে লাগালে উপকার হয়। খয়ের চূর্ণ ও নিসিন্দাপাতা চূর্ণ সমপরিমাণে মিশিয়ে লাগান।
আঘাত লেগে দাঁত ভেঙে গেলে
প্রথমে যা করতে পারেন :ভাঙা দাঁত ধরে টানাটনি করবেন না। ঘরোয়া চিকিত্সায় তাত্ক্ষণিক ফল লাভ হলেও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অ্যান্টিসেপ্টিক দিয়ে বা নুন জলে গার্গল করবেন।
চিকিত্সা :মতিহারি, তামাকপাতা, খদির চূর্ণ সমপরিমাণে একত্রে মিশিয়ে লাগালে উপকার হয়। খদির, কর্পূর, লবঙ্গ চূর্ণ, ফিটকিরি ও সোহাগা সমপরিমাণে মিশিয়ে অথবা লবঙ্গ চূর্ণ, নিশাদল, ফিটকিরি সমপরিমাণে মিশিয়ে লাগালেও উপকার হবে।
দাঁতে পোকা
প্রথমে যা করতে পারেন :দাঁতে কিন্তু সত্যি সত্যি পোকা হয় না। দাঁতের ক্ষয় রোগকে বলে ডেন্টাল কেরিস। চলতি কথায় দাঁতে পোকা। এই রোগে হঠাত্ করে তীব্র ব্যথা হতে পারে। ব্যথার বড়ি খেয়ে ব্যথা কমাতে হবে। প্রয়োজনে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে। নুন জল বা অ্যান্টিসেপ্টিক দিয়ে গার্গল করতে হবে।
চিকিত্সা :কণ্টিকারী গাছের শুকনো ফল ও কর্পূর সমপরিমাণে ব্যবহার করলে ভালো হয়। তিহারি তামাকপাতা চূর্ণ ও কর্পূর সমপরিমাণে লবঙ্গ তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার হয়। বিট লবণ, মরিচা চূর্ণ, সোহাগা, ফিটকিরি একত্রে তেলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগালেও উপকার পাবেন।
দাঁত দিয়ে রক্তপাত
প্রথমে যা করতে পারেন :পেয়ারা পাতা, বাবলাপাতা সিদ্ধ জল দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। ফিটকিরি চূর্ণ, লবঙ্গ চূর্ণ ও কর্পূর সমপরিমাণে ঠাণ্ডা জলের সঙ্গে মিশিয়ে কুলকুচি করবেন। আতাফলের বীজ ও তেঁতুল বীজ সমপরিমাণে চূর্ণ করে দাঁতের গোড়ায় লাগালে (যেখানে রক্তপাত হচ্ছে) উপকার হয়।
আক্কেল দাঁত
চিকিত্সা :যব ক্ষার ও বিট লবণ সমপরিমাণে মিশিয়ে লবঙ্গ তেলের সঙ্গে ব্যবহার করুন। যব ক্ষার ও তুঁতের ভস্ম সমপরিমাণে ব্যবহার করলে উপকার হয়। পলাশ ক্ষার লবঙ্গ তেলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগালেও আরাম হবে।