ঢাকা ০১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাউদকান্দিতে পিইসি’র প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা : ২ শিক্ষকের কারাদণ্ড

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পাবলিক পরীক্ষা পিইসি গণিত পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্ঠার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই শিক্ষককে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদাণ করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। আজ রবিবার পৌরসভা ঈদগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোক্তার হোসেন (৪৫) ও এবিসি কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক নাজির হোসেন (৪০) এর পিইসি গণিত পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টার ঘটনা প্রমাণ পাওয়ায় দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল-আমিন তাদের ১৫ দিন করে কারাদণ্ড প্রদাণ করে কুমিল্লা জেল-হাজতে প্রেরণ করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিস ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত ১০টায় এক অভিভাবক পিইসি গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন তার ছেলের নিকট পাওয়ার পর বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল-আমিনকে জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই আভিভাবকে তার বাসায় প্রশ্নের কপিসহ নিয়ে আসতে বলেন। ওই অভিভাবক প্রশ্নের কপি নিয়ে আসলে তিনি এর সাথে এলাকায় কোন শিক্ষক জড়িত আছেন কিনা তা সনাক্ত করার চেষ্টা চালান।

পরে তিনি পুলিশের সহযোগিতায় পৌরসভা সদর থেকে ঈদগাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোক্তার হোসেনকে সনাক্ত করেন। এ সূত্র ধরে তাকে আটক করা হয়। পরে আজ পিইসি গণিত পরীক্ষা শুরু হলে সরকার সরবরাহকৃত প্রশ্নের সাথে শিক্ষকের কপি মিলানো হয়। উভয় প্রশ্ন ৯০ভাগ মিল থাকায় প্রশ্ন কোথায় পাওয়া গেছে মুক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলে সে এবিসি কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক নাজির হোসেন এর নাম বলেন। পরে এবিসি কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক নাজির হোসেনকেও আটক করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মডেল থানার ওসি তাদেরকে জিজ্ঞাবাদ করলে তারা ঘটনা স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদেরকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদাণ করেন।

দাউদকান্দি মডেল থানা ওসি মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি আমাকে জানানোর পর প্রশ্ন পত্র ফাঁসের সাথে জড়িতদের ধরার জন্য অভিযান চালায়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করি এবং এর সাথে জড়িত অন্যদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উপজেলা নির্কাহী অফিসার মোঃ আল-আমিন বলেন, এক আভিভাবক বিষয়টি আমাকে জানানোর পর প্রশ্নের কপিটি আমি সংগ্রহ করি এবং কারা এর সাথে জড়িত তাদেরকে ধরার জন্য মডেল থানার ওসিকে অনুরোধ করি। পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগেই প্রথমে মোক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার কথা মত নাজির হোসেনকে আটক করা হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

দাউদকান্দিতে পিইসি’র প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা : ২ শিক্ষকের কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৩:২২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৭
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পাবলিক পরীক্ষা পিইসি গণিত পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্ঠার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই শিক্ষককে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদাণ করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। আজ রবিবার পৌরসভা ঈদগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোক্তার হোসেন (৪৫) ও এবিসি কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক নাজির হোসেন (৪০) এর পিইসি গণিত পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টার ঘটনা প্রমাণ পাওয়ায় দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল-আমিন তাদের ১৫ দিন করে কারাদণ্ড প্রদাণ করে কুমিল্লা জেল-হাজতে প্রেরণ করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিস ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত ১০টায় এক অভিভাবক পিইসি গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন তার ছেলের নিকট পাওয়ার পর বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল-আমিনকে জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই আভিভাবকে তার বাসায় প্রশ্নের কপিসহ নিয়ে আসতে বলেন। ওই অভিভাবক প্রশ্নের কপি নিয়ে আসলে তিনি এর সাথে এলাকায় কোন শিক্ষক জড়িত আছেন কিনা তা সনাক্ত করার চেষ্টা চালান।

পরে তিনি পুলিশের সহযোগিতায় পৌরসভা সদর থেকে ঈদগাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোক্তার হোসেনকে সনাক্ত করেন। এ সূত্র ধরে তাকে আটক করা হয়। পরে আজ পিইসি গণিত পরীক্ষা শুরু হলে সরকার সরবরাহকৃত প্রশ্নের সাথে শিক্ষকের কপি মিলানো হয়। উভয় প্রশ্ন ৯০ভাগ মিল থাকায় প্রশ্ন কোথায় পাওয়া গেছে মুক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলে সে এবিসি কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক নাজির হোসেন এর নাম বলেন। পরে এবিসি কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক নাজির হোসেনকেও আটক করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মডেল থানার ওসি তাদেরকে জিজ্ঞাবাদ করলে তারা ঘটনা স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদেরকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদাণ করেন।

দাউদকান্দি মডেল থানা ওসি মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি আমাকে জানানোর পর প্রশ্ন পত্র ফাঁসের সাথে জড়িতদের ধরার জন্য অভিযান চালায়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করি এবং এর সাথে জড়িত অন্যদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উপজেলা নির্কাহী অফিসার মোঃ আল-আমিন বলেন, এক আভিভাবক বিষয়টি আমাকে জানানোর পর প্রশ্নের কপিটি আমি সংগ্রহ করি এবং কারা এর সাথে জড়িত তাদেরকে ধরার জন্য মডেল থানার ওসিকে অনুরোধ করি। পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগেই প্রথমে মোক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার কথা মত নাজির হোসেনকে আটক করা হয়।