কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার দাউদকান্দির সুন্দলপুর বাজারের দুই পাহারাদারকে বেঁধে মা জুয়েলার্স নামের এক সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদল ১৩০ ভরি স্বর্ণালংকার, শতাধিক ভরি রুপা এবং ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টায় উপজেলার সুন্দলপুর বাজারের মা জুয়েলার্স নামের সোনার দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে আজ বুধবার মা জুয়েলার্স এর মালিক কমল বনিক বাদী হয়ে মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার সুন্দলপুর বাজারে গতকাল মঙ্গলবার রাতে পাহারায় ছিলেন তৌহিদ ও সোলেমান। রাত সাড়ে ৩টার দিকে একটি মাইক্রোবাসযোগে একদল অস্ত্রধারী ডাকাতদল বাজারে এসেই পাহারাদার দুইজনকে মুখে স্কসটেপ এঁটে হাত-পা বেঁধে গাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। ডাকাতদল মা জুয়েলার্সের শাটার দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে স্টিলের আলমারি ভেঙে ৬০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং ১০০ ভরি রুপা এবং ২০ হাজার টাকা ও সিন্দুকের ভেতর রক্ষিত ৭০ ভরি সোনাসহ সিন্দুকটিকে গাড়িতে করে নিয়ে যায়।
ডাকাতদল সোনার দোকানে ডাকাতি শেষে দুই পাহারাদারকে নিয়ে গাড়িতে করে চলে যায়। পথে দুই পাহারাদারকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছান্দ্রা গ্রামের নিকট ফেলে চলে যায়। সকালে স্থানীয়রা হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দুইজনকে দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সেখান থেকে দুই পাহারাদারকে উদ্ধার করে।
মা জুয়েলার্স’র মালিক কমল বনিক জানান, প্রতিদিনের ন্যায় দোকানদারি শেষ করে দোকান শাটারে তালা লাগিয়ে চলে যাই।
ডাকাতদল গেইট ও শাটার ভেঙে ১৩০ ভরি স্বর্ণালংকার শতাধিক ভরি রুপা এবং ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। অনেক খরিদদারের গহনার অর্ডার ছিল এবং আমার ব্যবসার সকল পূঁজি ডাকাত দল লুট করে নিয়ে আমাকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। ”
সুন্দলপুর বাজার কমিটির সভাপতি মিজান রহমান তালুকদার বলেন, “আমরা ডাকাতির ঘটনা শুনে ভোররাতে বাজার এসে দেখি মা জুয়েলার্সের সবকিছু ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। পূর্বে বাজারে অনেক চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি। আমার বিশ্বাস পুলিশ যদি আন্তরিকতার সাথে কাজ করে অবশ্যই লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারবে। ”
দাউদকান্দি মডেল থানার এসআই মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “বাজারের পাহারাদার দুইজনকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মহাসড়কের ছান্দ্রা গ্রামের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জুয়েলার্স দোকানের মালিক কমল বনিক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনায় জড়িতদের ধরার জন্য পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। “