দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ছয়জন নিহত ও কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছে।
শনিবার ভোর সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মাহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার জিংলাতলীতে এলাকায় ঘটনা ঘটে।
নিহত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পাঙ্গা গ্রামের আয়েত আলী ছেলে আতিয়ার রহমান (৪৮) এবং একই জেলার জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল গ্রামের মৃত মুনছুর আলীর ছেলে মো. শাহশাহান মিয়া (৪০), মৃত গাটিয় সরকারের ছেলে এনামুল হক (৬০), উত্তর গোমনাতী গ্রামের মমিনুরের ছেলে বাবু (১৮) এবং মেলাপাঙ্গা গ্রামের জাকালার ছেলে ফারুক হোসেন (২৮)। অপরজন ২৫-২৬ বছরের যুবক। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানাচ্ছে হতাহতরা সবাই দিনমজুর ছিলেন।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়াল জানান, নীলফামারীর ডিমলা থেকে ছেড়ে আসা কুমিল্লাগামী যাত্রীবাহী বাসটি দাউদকান্দি উপজেলার জিংলাতলীতে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত ও কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে তিনজনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকায় নেয়ার পথে আরেকজনের মৃত্যু হয়। অপর আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে। আহতদের দাউদকান্দির গৌরীপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার ও দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি জব্দ করেছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবির্ক) মনিরুজ্জামান তালুকদার। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন।