ঢাকা ০৭:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুপুরের আগেই আঘাত করবে ইয়াস

জাতীয়:

ভারতের স্থলভাগের আরো কাছাকাছি চলে এসেছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর বুধবার (২৬ মে) ভোর সাড়ে ৫টায় এক বুলেটিনে জানিয়েছে, ওড়িশার ধামরা থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার পূর্বে রয়েছে ইয়াসের কেন্দ্রস্থল। পারাদ্বীপ থেকে ৯০ কিমি পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বে রয়েছে ইয়াস। পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে ইয়াস। এসব তথ্য জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসছে। মনে করা হচ্ছে, ওড়িশার ধামারার আশপাশেই তা আছড়ে পড়বে। বঙ্গোপসাগরের ২০ ডিগ্রি ৭ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭ ডিগ্রি ৪৫ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমায় তা অবস্থান করছে। ওড়িশার ভদ্রক জেলার ধামরা এবং বালেশ্বরের মধ্যবর্তী উপকূলভাগের দিকেই এগিয়ে আসছে। বুধবার সকালেই সেখানে হানা দিতে পারে ‘অতি শক্তিশালী’ ইয়াস। যার জেরে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ওড়িশার উপকূলবর্তী ওই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও বাড়াচ্ছে।

যে গতি নিয়ে ইয়াস স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছিল, শেষ ৬ ঘণ্টায় তা একটু বেড়েছে। শেষ ৬ ঘণ্টায় ঘণ্টা প্রতি ১৫ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ইয়াস। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার। তবে এর সর্বোচ্চ (গাস্টিং) ১৫৫ কিলোমিটার হতে পারে।

বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ওড়িশার বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দ্রাপড়া, জগৎসিংহপুরের মতো উপকূলবর্তী বিভিন্ন জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। অতি ভারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা পশ্চিবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও। দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

দুপুরের আগেই আঘাত করবে ইয়াস

আপডেট সময় ০৪:১৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

জাতীয়:

ভারতের স্থলভাগের আরো কাছাকাছি চলে এসেছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর বুধবার (২৬ মে) ভোর সাড়ে ৫টায় এক বুলেটিনে জানিয়েছে, ওড়িশার ধামরা থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার পূর্বে রয়েছে ইয়াসের কেন্দ্রস্থল। পারাদ্বীপ থেকে ৯০ কিমি পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বে রয়েছে ইয়াস। পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে ইয়াস। এসব তথ্য জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসছে। মনে করা হচ্ছে, ওড়িশার ধামারার আশপাশেই তা আছড়ে পড়বে। বঙ্গোপসাগরের ২০ ডিগ্রি ৭ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭ ডিগ্রি ৪৫ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমায় তা অবস্থান করছে। ওড়িশার ভদ্রক জেলার ধামরা এবং বালেশ্বরের মধ্যবর্তী উপকূলভাগের দিকেই এগিয়ে আসছে। বুধবার সকালেই সেখানে হানা দিতে পারে ‘অতি শক্তিশালী’ ইয়াস। যার জেরে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ওড়িশার উপকূলবর্তী ওই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও বাড়াচ্ছে।

যে গতি নিয়ে ইয়াস স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছিল, শেষ ৬ ঘণ্টায় তা একটু বেড়েছে। শেষ ৬ ঘণ্টায় ঘণ্টা প্রতি ১৫ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ইয়াস। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার। তবে এর সর্বোচ্চ (গাস্টিং) ১৫৫ কিলোমিটার হতে পারে।

বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ওড়িশার বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দ্রাপড়া, জগৎসিংহপুরের মতো উপকূলবর্তী বিভিন্ন জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। অতি ভারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা পশ্চিবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও। দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।