ঢাকা ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুবাইর প্রিন্সের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীর আইনি লড়াই

অন্তর্জাতিক:

দুবাইর শাসক শেখ মোহাম্মদ আল-মাখতুম এবং তার পালিয়ে যাওয়া এক স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনত আল-হুসেইনের মধ্যে এক আইনি লড়াই লন্ডনের এক আদালতে শুরু হয়েছে। শেখ মোহাম্মদ আল-মাখতুম মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাবান এবং প্রভাবশালী নেতাদের একজন। অন্যদিকে প্রিন্সেস হায়া জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সৎ বোন। তিনি পড়াশোনা করেছেন ব্রিটেনের প্রাইভেট স্কুলে এবং ঘোড়দৌড়ে অলিম্পিকে অংশ নেয়া প্রতিযোগী।

 

প্রিন্সেস হায়া ২০০৪ সালে শেখ মোহাম্মদকে বিয়ে করেন। তিনি হচ্ছেন শেখ মাখতুমের ছয় নম্বর স্ত্রী। শেখ মোহাম্মদের বয়স এখন ৭০। বিভিন্ন স্ত্রীর গর্ভে তার মোট ২৩ জন সন্তান। শেখ মোহাম্মদেরও ঘোড় দৌড় নিয়ে আগ্রহ আছে। তিনি ব্রিটেনের নামকরা একটি ঘোড়ার আস্তাবল গোডোলফিন হর্স রেসিং স্ট্যাবলের মালিক।

প্রিন্সেস হায়া প্রথমে দুবাই থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন জার্মানিতে। সেখানে তিনি নাকি রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ারও চেষ্টা করেন। কিন্তু এমাসে জানা যায় যে, তিনি এখন লন্ডনের কেনসিংটনে তার দশ কোটি ডলারের বেশি দামের এক বাড়িতে থাকছেন ।

আরও পড়ুন :

প্রিন্সেস হায়া এখন ব্রিটেনেই থাকতে চান বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু দুবাইর শাসক যদি এখন তার স্ত্রীকে ফেরত পাঠানোর দাবি জানান, সেটা ব্রিটেনের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

শেখ মোহাম্মদ তার স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর ক্রুদ্ধ হয়ে একটি কবিতা লেখেন। সেখানে তিনি নাম উল্লেখ না করে একজন নারীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ করেন। এই কবিতা তিনি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন।

দুবাইর প্রিন্সের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীর আইনি লড়াই

লন্ডনের আদালতের বাইরে শেখ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। ছবি-সংগৃহীত

প্রিন্সেস হায়ার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো দাবি করছে, তিনি সম্প্রতি শেখ মোহাম্মদের এক কন্যা শেখ লতিফাকে রহস্যজনকভাবে যেভাবে দুবাই ফিরিয়ে আনা হয়, সে ব্যাপারে কিছু বিচলিত হওয়ার মতো তথ্য জানতে পেরেছেন। তারপরই তিনি নিজে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শেখ লতিফা এক ফরাসী পুরুষের সাহায্য নিয়ে দুবাই থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন সমূদ্রপথে। কিন্তু ভারতের সশস্ত্র রক্ষীরা তাদের আটক করে আবার দুবাইর হাতে তুলে দেয়।

সেসময় এই ঘটনার সমালোচনা হলে প্রিন্সেস হায়া দুবাইর শাসকের পক্ষ নিয়ে বলেছিলেন, শেখ লতিফা দুবাইতেই নিরাপদ। কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলো তখন বলেছিল, শেখ লতিফাকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে অপহরণ করে দুবাইতে ফিরিয়ে নেয়া হয়।

কিন্তু প্রিন্সেস হায়ার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এখন দাবি করছে, এঘটনার ব্যাপারে তিনি এখন নতুন কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন। আর এ কারণে তিনি তার স্বামীর পরিবারের দিকে থেকে প্রচণ্ড চাপের মুখে ছিলেন। সূত্র : বিবিসি

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

দুবাইর প্রিন্সের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীর আইনি লড়াই

আপডেট সময় ০৬:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯
অন্তর্জাতিক:

দুবাইর শাসক শেখ মোহাম্মদ আল-মাখতুম এবং তার পালিয়ে যাওয়া এক স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনত আল-হুসেইনের মধ্যে এক আইনি লড়াই লন্ডনের এক আদালতে শুরু হয়েছে। শেখ মোহাম্মদ আল-মাখতুম মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাবান এবং প্রভাবশালী নেতাদের একজন। অন্যদিকে প্রিন্সেস হায়া জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সৎ বোন। তিনি পড়াশোনা করেছেন ব্রিটেনের প্রাইভেট স্কুলে এবং ঘোড়দৌড়ে অলিম্পিকে অংশ নেয়া প্রতিযোগী।

 

প্রিন্সেস হায়া ২০০৪ সালে শেখ মোহাম্মদকে বিয়ে করেন। তিনি হচ্ছেন শেখ মাখতুমের ছয় নম্বর স্ত্রী। শেখ মোহাম্মদের বয়স এখন ৭০। বিভিন্ন স্ত্রীর গর্ভে তার মোট ২৩ জন সন্তান। শেখ মোহাম্মদেরও ঘোড় দৌড় নিয়ে আগ্রহ আছে। তিনি ব্রিটেনের নামকরা একটি ঘোড়ার আস্তাবল গোডোলফিন হর্স রেসিং স্ট্যাবলের মালিক।

প্রিন্সেস হায়া প্রথমে দুবাই থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন জার্মানিতে। সেখানে তিনি নাকি রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ারও চেষ্টা করেন। কিন্তু এমাসে জানা যায় যে, তিনি এখন লন্ডনের কেনসিংটনে তার দশ কোটি ডলারের বেশি দামের এক বাড়িতে থাকছেন ।

আরও পড়ুন :

প্রিন্সেস হায়া এখন ব্রিটেনেই থাকতে চান বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু দুবাইর শাসক যদি এখন তার স্ত্রীকে ফেরত পাঠানোর দাবি জানান, সেটা ব্রিটেনের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

শেখ মোহাম্মদ তার স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর ক্রুদ্ধ হয়ে একটি কবিতা লেখেন। সেখানে তিনি নাম উল্লেখ না করে একজন নারীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ করেন। এই কবিতা তিনি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন।

দুবাইর প্রিন্সের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীর আইনি লড়াই

লন্ডনের আদালতের বাইরে শেখ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। ছবি-সংগৃহীত

প্রিন্সেস হায়ার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো দাবি করছে, তিনি সম্প্রতি শেখ মোহাম্মদের এক কন্যা শেখ লতিফাকে রহস্যজনকভাবে যেভাবে দুবাই ফিরিয়ে আনা হয়, সে ব্যাপারে কিছু বিচলিত হওয়ার মতো তথ্য জানতে পেরেছেন। তারপরই তিনি নিজে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শেখ লতিফা এক ফরাসী পুরুষের সাহায্য নিয়ে দুবাই থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন সমূদ্রপথে। কিন্তু ভারতের সশস্ত্র রক্ষীরা তাদের আটক করে আবার দুবাইর হাতে তুলে দেয়।

সেসময় এই ঘটনার সমালোচনা হলে প্রিন্সেস হায়া দুবাইর শাসকের পক্ষ নিয়ে বলেছিলেন, শেখ লতিফা দুবাইতেই নিরাপদ। কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলো তখন বলেছিল, শেখ লতিফাকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে অপহরণ করে দুবাইতে ফিরিয়ে নেয়া হয়।

কিন্তু প্রিন্সেস হায়ার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এখন দাবি করছে, এঘটনার ব্যাপারে তিনি এখন নতুন কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন। আর এ কারণে তিনি তার স্বামীর পরিবারের দিকে থেকে প্রচণ্ড চাপের মুখে ছিলেন। সূত্র : বিবিসি