ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেবালয়ে আক্রমণ ও ভাঙচুর বেশি মাত্রায় সংঘটিত হচ্ছে: খালেদা জিয়া

জাতীয় ডেস্ক:
দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে ও উপাসনালয়ে হামলা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন,এই সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক উসকানি, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেবালয়ে আক্রমণ ও ভাঙচুর বেশি মাত্রায় সংঘটিত হচ্ছে। এবার দুর্গা পূজার প্রাক্কালেও দেশের বেশকিছু স্থানে মন্দির ও হিন্দু বাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে। এই সমস্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আমি এই সমস্ত অশুভ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আজ সোমবার দুপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। যেকোনো ধরনের অশুভ তৎপরতা সম্পর্কে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বিএনপি এ দেশের প্রতিটি মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু তত্ত্বে বিশ্বাস করি না। আমরা সবাই বাংলাদেশি- এটাই হোক আমাদের বড় পরিচয়।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপমহাদেশ এবং বাংলাদেশসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠীর হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। সুদীর্ঘকাল ধরে এই ধর্মীয় উৎসবটি সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও দুর্গাপূজা সবসময় উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়। যেকোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়। সব ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানবকল্যাণ। মানুষ হিসেবে হিংসা-বিদ্বেষ ও রক্তারক্তি পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া আমাদের সবার কর্তব্য।’
খালেদা জিয়া বলেন, দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে- হিংসা, লোভ ও ক্রোধরুপী অসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে ন্যায় ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। নির্যাতন, নিপীড়ন ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় দুঃশাসন তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠা এই উপাসনার মূল লক্ষ্য। সেই বাণীকে আত্মস্থ করেই দুর্গা পূজার উৎসবের আনন্দকে সবাই মিলে ভাগ করে নিতে হবে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় মুরাদনগরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

দেবালয়ে আক্রমণ ও ভাঙচুর বেশি মাত্রায় সংঘটিত হচ্ছে: খালেদা জিয়া

আপডেট সময় ১১:২০:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
জাতীয় ডেস্ক:
দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে ও উপাসনালয়ে হামলা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন,এই সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক উসকানি, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেবালয়ে আক্রমণ ও ভাঙচুর বেশি মাত্রায় সংঘটিত হচ্ছে। এবার দুর্গা পূজার প্রাক্কালেও দেশের বেশকিছু স্থানে মন্দির ও হিন্দু বাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে। এই সমস্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আমি এই সমস্ত অশুভ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আজ সোমবার দুপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। যেকোনো ধরনের অশুভ তৎপরতা সম্পর্কে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বিএনপি এ দেশের প্রতিটি মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু তত্ত্বে বিশ্বাস করি না। আমরা সবাই বাংলাদেশি- এটাই হোক আমাদের বড় পরিচয়।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপমহাদেশ এবং বাংলাদেশসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠীর হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। সুদীর্ঘকাল ধরে এই ধর্মীয় উৎসবটি সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও দুর্গাপূজা সবসময় উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়। যেকোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়। সব ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানবকল্যাণ। মানুষ হিসেবে হিংসা-বিদ্বেষ ও রক্তারক্তি পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া আমাদের সবার কর্তব্য।’
খালেদা জিয়া বলেন, দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে- হিংসা, লোভ ও ক্রোধরুপী অসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে ন্যায় ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। নির্যাতন, নিপীড়ন ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় দুঃশাসন তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠা এই উপাসনার মূল লক্ষ্য। সেই বাণীকে আত্মস্থ করেই দুর্গা পূজার উৎসবের আনন্দকে সবাই মিলে ভাগ করে নিতে হবে।