সুমন সরকার/ রায়হান চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দেবিদ্বারে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরও মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে নির্বাচন হচ্ছে না। মেয়াদ উত্তীর্ণ সভাপতি ময়নাল হোসেনসহ একটি প্রভাবশালী মহলের প্রচেষ্টায় বৈধ অভিভাবকহীন ভাবেই চলছে ওই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। এতে চরমভাবে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ এলাকার সচেতন মহল।
শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকার লোকজন সাংবাদিক সম্মেলন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
এসময় বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দেবনাথ এবং সাবেক সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন মিঠুকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নানাভাবে হয়রানির প্রতিবাদ করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চলতি বছরের মার্চ মাসে মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। যথাসময়ে সভাপতি নির্বাচিত না হওয়ায় ওই বিদ্যালয়ের নির্বাচিত অভিভাবক প্রতিনিধি আবুল হাসেম চলতি বছরের ২৬ ফেব্রæয়ারি উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। আদালত গত ১৮ মার্চ বিষয়টি তিন দিনের মধ্যে সুরাহা করে প্রয়োাজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ঘটনার পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও এখনও সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এদিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ সভাপতি ময়নাল হোসেন পাঁচ মাস যাবত বহাল তবিয়্যতে থেকে উল্টো সাবেক সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন মিঠু এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দেবনাথের বিরুদ্ধে ৩ বছর আগের মিমাংশিত একটি ইস্যুকে পুঁজি করে তাদেরকে হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
বক্তারা বলেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দেবনাথ এলাকায় একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তি। কিন্তু তার আমলে কিছু পদ্ধতিগত ভুল হলেও কোন প্রকার অনিয়ম দূর্নীতি হয়নি। অথচ তার বিরুদ্ধে এখন ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হচ্ছে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন মিঠু, মোহনপুর পাবলিক কলেজের সভাপতি আব্দুল লতিফ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান ভ‚ই্য়া, ব্যাংকার ময়নাল হোসেন, দাতা সদস্য আলমগীর কবির, সাবেক অভিভাবক প্রতিনিধি সফিকুল ইসলাম বাদল, মিজানুর রহমান, শেখ মাহবুব হোসেন, হুমায়ন কবির প্রমুখ।