কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার (২৪ মার্চ) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও সে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। তবে ঘটনার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার দেবীদ্বার উপজেলার সাইচাপাড়া গ্রামের মো. বাবুল মিয়ার মেয়ের (২৪) সাথে জেলার চান্দিনা উপজেলার ন্যায্যমূল্য হাসানের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বেশ কয়েক মাস ধরে সাইচাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে খন্দকার ফারুক (৩২) মোবাইল ফোনে ওই গৃহবধূর সাথে সখ্যতার সৃষ্টি হয়। গত ২১ মার্চ ওই গৃহবধূকে একই এলাকার ফরিদ মিয়ার ছেলে সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. সোহাগের সহযোগিতায় জেলার ব্রাহ্মণপাড়ায় খন্দকার ফারুকের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। ওই বাসায় খন্দকার ফারুক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরদিন সিএনজি অটোরিকশা চালক সোহাগ ওই গৃহবধূকে তাদের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে তাকে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে গৃহবধূর বাবা বাবুল মিয়া বাদী হয়ে খন্দকার ফারুক ও সিএনজি চালক সোহাগকে অভিযুক্ত করে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণপাড়া থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, ‘বুধবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরে কুমিল্লার আদালতে ঘটনার বিষয়ে সে জবানবন্দি দিয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’