শাহীন আলম, দেবিদ্বার (কুমিল্লা ) প্রতিনিধিঃ
সন্ধ্যা তখন সাড়ে ৮টা। প্রশ্রব বেদনায় ছটপট করছে গৃহবধু মরিয়ম বেগম।স্বজনদের সহযোগিতায় মরিয়ম কে নিয়ে আসা হয় দেবিদ্বার সদরের প্রাইভেট একটি ক্লিনিকে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছিলেন গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. আসাদুজ্জামান রতন। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমে সেখানে সিজারে ভূমিষ্ঠ হয় দুই মাথা বিশিষ্ট একটি ছেলে নবজাতক শিশুর।
ঘটনাটি ঘটেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে দেবিদ্বার সদরের সেবা হসপিটালে। শিশুটি বাঙ্গরা বাজার থানার সীমানার পাড় গ্রামের ওমান প্রবাসী মো. সাদ্দাম হোসেন ও মরিয়ম বেগমের প্রথম সন্তান।
স্বজনরা জানায়, মরিয়ম বেগমের প্রশ্রব ব্যাথা উঠলে তাকে হসপিটালে নিয়ে গাইনি বিশেষজ্ঞ মির্জা আসাদুজ্জামান রতনের প্রচেষ্টায় একটি জোড়া মাথার ছেলে সন্তানের জন্ম দেয় মরিয়ম। ওখন সার্জারী করে জোড়া মাথা আলাদা করার কথা চিন্তা করছি।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ রোগটি এক কোটি জন্ম নেওয়া শিশুর মধ্যে গড়ে ৪-৬ জন নবজাতকের হতে পারে। এ পর্যন্ত সারাবিশ্বে ১০টি শিশু জোড়া মাথায় নিয়ে জন্ম নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এতেই বেশির ভাগ শিশুই মৃত জন্ম নেয় অথবা জন্ম নেওয়ার কিছু সময় পর মারা যায়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আসাদুজ্জামান রতন বলেন, ক্রেনিওপেগাস প্যারাসাইটিকাস নামে পরিচিত এ রোগটি। সার্জারী করে মাথা আলাদা করা সম্ভব, তবে এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ ও মারা যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে। বর্তমানে শিশুটি ও তার মা বর্তমানে সুস্থ আছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।