ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেবিদ্বারে ট্রাকের ধাক্কায় মাইক্রোবাসে আগুন, নিহত ৩ দগ্ধ ৫

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় যাত্রীবাহী মাইক্রেবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ধরে শিশুসহ ৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন। দগ্ধ হয়েছেন আরও ৫ জন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের জেলার দেবিদ্বার উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে শিশু রবজা নগরীর অশোকতলা এলাকার মকবুল হোসেনের মেয়ে এবং সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে ইউসুফ। তবে নিহত অপর জনের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানায়, চান্দিনা থেকে মাইক্রোবাসটি ময়নামতি আসছিল। পথিমধ্যে মহাসড়কের দেবিদ্বার উপজেলার গোবিন্দপুর স্টেশনে যাত্রী উঠানোর জন্য থামে। এসময় পেছেন থেকে একটি বাস ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সাথে সাথে অপর একটি ট্রাক মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে গাড়িটি মহাসড়কের উপরে উল্টে যায় এবং গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে মাইক্রোবাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

প্রত্যক্ষদর্শী বশির ভূইয়া, রমিজ উদ্দিন, আলতাব আলী জানান, এই মহাসড়কে থ্রিহুইলার নিষিদ্ধ হওয়ার পর পুরাতন মাইক্রোবাস ও মারুতি গাড়ি লোকাল যাত্রী যাতায়াত করা হয়। ওই মাইক্রোবাসটি চান্দিনা বাস স্টেশন থেকে ময়নামতি রুটে চলাচল করতো। যাত্রীদের অধিকাংশই চান্দিনার একটি মাহফিল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।

চান্দিনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার সফিক উদ্দিন মুন্সি বলেন, আমরা ৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাই এবং শিশুসহ তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করি। এর আগে আরও ২জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন জানান, দগ্ধ হালিমা, আবুল কাশেম ও জসিম উদ্দিনকে এ হাসপাতালে আনার পর তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে হালিমার ৫০ শতাংশ, আবুল কাশেমের ৩৫ শতাংশ এবং জসিম উদ্দিনের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। এদিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা জানান, সজিব ও মজনু নামের ২ জনকে এ হাসপাতালে আনার পর তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি ক্রসিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আলমগীর হোসেন জানান, দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি উদ্ধার করে ডাম্পিংয়ে নেওয়া হয়েছে, ট্রাক ও বাস চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় মামলা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

দেবিদ্বারে ট্রাকের ধাক্কায় মাইক্রোবাসে আগুন, নিহত ৩ দগ্ধ ৫

আপডেট সময় ০৬:৪২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৯

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় যাত্রীবাহী মাইক্রেবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ধরে শিশুসহ ৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন। দগ্ধ হয়েছেন আরও ৫ জন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের জেলার দেবিদ্বার উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে শিশু রবজা নগরীর অশোকতলা এলাকার মকবুল হোসেনের মেয়ে এবং সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে ইউসুফ। তবে নিহত অপর জনের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানায়, চান্দিনা থেকে মাইক্রোবাসটি ময়নামতি আসছিল। পথিমধ্যে মহাসড়কের দেবিদ্বার উপজেলার গোবিন্দপুর স্টেশনে যাত্রী উঠানোর জন্য থামে। এসময় পেছেন থেকে একটি বাস ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সাথে সাথে অপর একটি ট্রাক মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে গাড়িটি মহাসড়কের উপরে উল্টে যায় এবং গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে মাইক্রোবাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

প্রত্যক্ষদর্শী বশির ভূইয়া, রমিজ উদ্দিন, আলতাব আলী জানান, এই মহাসড়কে থ্রিহুইলার নিষিদ্ধ হওয়ার পর পুরাতন মাইক্রোবাস ও মারুতি গাড়ি লোকাল যাত্রী যাতায়াত করা হয়। ওই মাইক্রোবাসটি চান্দিনা বাস স্টেশন থেকে ময়নামতি রুটে চলাচল করতো। যাত্রীদের অধিকাংশই চান্দিনার একটি মাহফিল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।

চান্দিনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার সফিক উদ্দিন মুন্সি বলেন, আমরা ৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাই এবং শিশুসহ তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করি। এর আগে আরও ২জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন জানান, দগ্ধ হালিমা, আবুল কাশেম ও জসিম উদ্দিনকে এ হাসপাতালে আনার পর তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে হালিমার ৫০ শতাংশ, আবুল কাশেমের ৩৫ শতাংশ এবং জসিম উদ্দিনের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। এদিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা জানান, সজিব ও মজনু নামের ২ জনকে এ হাসপাতালে আনার পর তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি ক্রসিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আলমগীর হোসেন জানান, দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি উদ্ধার করে ডাম্পিংয়ে নেওয়া হয়েছে, ট্রাক ও বাস চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় মামলা হবে।