ঢাকা ১০:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেবিদ্বারে ত্রানের বিষয়ে জানতে চাওয়াতে যুবকের উপর চেয়ারম্যানের হামলা

সুমন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

চেয়রম্যান আমি তোর কেন এত জনগনের জন্য মায়া লাগে এই কথা চেয়ারম্যান বলার পর তার পাশে থাকা লোকেরা আমাকে ‘চোর চোর’ বলে দেঁৗড়িয়ে প্রকাশ্যে পিটিয়েছে। চেয়ারম্যান নিজেও আমাকে বেদম পিঠিয়েছে। আমি বারবার বলেছি, কাকা আমি রোজা রেখেছি আমাকে মারবেন না। তারপরও কেউ শোনেননি আমার কথা। একের পর এক কিল, ঘুষি, লাথি ও গাছের ঢাল দিয়ে আমাকে পিঠিয়েছে। আমি দেঁৗড়িয়ে পালাতে চেষ্টা করেও পালাতে পারিনি।

পরে রাস্তায় একটি চলন্ত অটো রিক্সায় লাফ দিয়ে ওঠে কোন রকম আমার জীবন বঁাচিয়েছি। কোন অন্যায় ছাড়া এভাবে একজন চেয়ারম্যান নিজে ও তার ভাড়াটে লোক দিয়ে মারতে পারে না।

কুমিল্লার দেবিদ্বারে গুনাইঘর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে হতদরিদ্র দিনমজুরদের জন্য সরকারী বরাদ্দের খাদ্য সহায়তার অনিয়মের অভিযোগ তুলে ইউএনও কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় মারধরের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী যুবক রাকিব বিন কুদ্দুস।

বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ছেপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমি এখন চেয়ারম্যানের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারি না। সে যেকোন সময় আমার প্রাণে মেরে ফেলবে। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সরকারের নিকট আকুল আবেদন জানাই, এ ঘটনায় যেন সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীকে বিচারের আওত্তায় আনা হয়। রাকিব লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, আমার দোষ আমি প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠির হক সরকারি বরাদ্দকৃত ত্রাণ যারা পাইনি তাদের পক্ষে কথা বলেছি এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি এটাই আমার জন্য এখন কাল হয়ে দাড়িয়েছে। মারধরের শিকার রাকিব বিন কুদ্দুস গুনাইঘর উত্তর ইউপি’র ছেপাড়া গ্রামের আবদুল কুদ্দুস সরকারের ছেলে এবং একটি বেসরকারি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গুনাইঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম জানান, আমার অফিসের সামনে এসে ওই যুবক মিথ্যা অভিযোগ করায় ইউপি সদস্য জব্বারের লোকজন রাস্তায় ওই যুবককে মারধর করেছে বলে শুনেছি। তখন আমি আমার অফিসের ভেতরে ছিলাম। আমার ছেলেরা ওই সময় কে-কোথায় ছিল সেটা আমি জানি না। তবে আমার অফিসের সামনে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।

এ ব্যাপারে ইউওনও রাকিব হাসান বলেন, মারধরের ব্যাপারে মৌখিক অভিযোগ শুনেছি.তবে আমার কাছে কেউ লিখিত কোন অভিযোগ করেনি, লিখিত অভিযোগ পেলে আমি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেব।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ মে বিকালে গুনাইঘর ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমের অস্থায়ী কার্যালয়ে খাদ্য সহায়তা ছাড়াও মসজিদে অর্থ বরাদ্দের তালিকায় না থাকার বিষয়ে কথা বলায় লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত ও লাঞ্ছিত করা হয় রাকিবকে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

দেবিদ্বারে ত্রানের বিষয়ে জানতে চাওয়াতে যুবকের উপর চেয়ারম্যানের হামলা

আপডেট সময় ০১:০০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০

সুমন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

চেয়রম্যান আমি তোর কেন এত জনগনের জন্য মায়া লাগে এই কথা চেয়ারম্যান বলার পর তার পাশে থাকা লোকেরা আমাকে ‘চোর চোর’ বলে দেঁৗড়িয়ে প্রকাশ্যে পিটিয়েছে। চেয়ারম্যান নিজেও আমাকে বেদম পিঠিয়েছে। আমি বারবার বলেছি, কাকা আমি রোজা রেখেছি আমাকে মারবেন না। তারপরও কেউ শোনেননি আমার কথা। একের পর এক কিল, ঘুষি, লাথি ও গাছের ঢাল দিয়ে আমাকে পিঠিয়েছে। আমি দেঁৗড়িয়ে পালাতে চেষ্টা করেও পালাতে পারিনি।

পরে রাস্তায় একটি চলন্ত অটো রিক্সায় লাফ দিয়ে ওঠে কোন রকম আমার জীবন বঁাচিয়েছি। কোন অন্যায় ছাড়া এভাবে একজন চেয়ারম্যান নিজে ও তার ভাড়াটে লোক দিয়ে মারতে পারে না।

কুমিল্লার দেবিদ্বারে গুনাইঘর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে হতদরিদ্র দিনমজুরদের জন্য সরকারী বরাদ্দের খাদ্য সহায়তার অনিয়মের অভিযোগ তুলে ইউএনও কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় মারধরের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী যুবক রাকিব বিন কুদ্দুস।

বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ছেপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমি এখন চেয়ারম্যানের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারি না। সে যেকোন সময় আমার প্রাণে মেরে ফেলবে। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সরকারের নিকট আকুল আবেদন জানাই, এ ঘটনায় যেন সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীকে বিচারের আওত্তায় আনা হয়। রাকিব লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, আমার দোষ আমি প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠির হক সরকারি বরাদ্দকৃত ত্রাণ যারা পাইনি তাদের পক্ষে কথা বলেছি এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি এটাই আমার জন্য এখন কাল হয়ে দাড়িয়েছে। মারধরের শিকার রাকিব বিন কুদ্দুস গুনাইঘর উত্তর ইউপি’র ছেপাড়া গ্রামের আবদুল কুদ্দুস সরকারের ছেলে এবং একটি বেসরকারি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গুনাইঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম জানান, আমার অফিসের সামনে এসে ওই যুবক মিথ্যা অভিযোগ করায় ইউপি সদস্য জব্বারের লোকজন রাস্তায় ওই যুবককে মারধর করেছে বলে শুনেছি। তখন আমি আমার অফিসের ভেতরে ছিলাম। আমার ছেলেরা ওই সময় কে-কোথায় ছিল সেটা আমি জানি না। তবে আমার অফিসের সামনে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।

এ ব্যাপারে ইউওনও রাকিব হাসান বলেন, মারধরের ব্যাপারে মৌখিক অভিযোগ শুনেছি.তবে আমার কাছে কেউ লিখিত কোন অভিযোগ করেনি, লিখিত অভিযোগ পেলে আমি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেব।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ মে বিকালে গুনাইঘর ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমের অস্থায়ী কার্যালয়ে খাদ্য সহায়তা ছাড়াও মসজিদে অর্থ বরাদ্দের তালিকায় না থাকার বিষয়ে কথা বলায় লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত ও লাঞ্ছিত করা হয় রাকিবকে।