মুরাদনগর বার্তা ডেস্ক : 
দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার দেবিদ্বারে ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে নববধূকে তুলে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুড়িচং উপজেলার নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ‘গত শুক্রবার জেলার দেবিদ্বার উপজেলার সূর্যপুর গ্রামের জাকির ফরাজীর মেয়ে ফাতেমা আক্তার যখন তার স্বামীর বাড়ি একই উপজেলার সাহারপাড় গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে অতিথিদের আপ্যায়নে ব্যস্ত তখন সেখানে ১০টি মাইক্রোবাসযোগে ৪০/৫০ জন বখাটে নিয়ে বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইল। এ সময় তারা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠানের লোকজনদের মারধর করে কনেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। পরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসী তাদের ঘেরাও করলে ওই ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইল ও ছাত্রলীগ নেতা সাকিব পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
কিন্তু স্থানীয় জনতা জাফর হোসেন, সজিব পাল, কাউছার আহম্মেদ, আলী হোসেন, মেহেদী হাসান, মো. আলম ও নাইদুল ইসলামসহ ৭ বখাটেকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
ফাতেমার বাবা জাকির ফরাজী জানান, ‘তার মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইল তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো। গত ১ ফেব্রুয়ারি ফাতেমার বিয়ের খবর পেয়ে সে একাধিকবার ফাতেমাকে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডিও করা হয়েছিল।’
দেবিদ্বার থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার জানান, গ্রেফতারকৃত সাত বখাটে ছাড়াও হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইল ও তার সহযোগী সাকিবসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ওই ঘটনার পর শনিবার নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে জেলা ছাত্রলীগ।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব অপি শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘সংগঠনের শৃংখলা বিনষ্ট করার কারণে জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরী সভায় বুড়িচং উপজেলার নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।’
