ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেবিদ্বারে বেতন দিতে না পারায় এতিম ছাত্রীদের পরীক্ষা দিতে দেয়নি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

দেবিদ্বার উপজেলার ছোট আলমপুর আল মদিনা মহিলা মাদ্রাসায় বেতন না দিতে পারায় দুই শিশু শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেননি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি আকতারুজ্জামান পরিচালিত দেবিদ্বার পৌর এলাকার এ মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি আকতারুজ্জামান পরিচালিত দেবিদ্বার পৌর এলাকার এ মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

শিশু দুটির একমাত্র অভিভাবক মায়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান, গত পাচঁ বছর আগে বাবাকে হারিয়ে আজমা আক্তার ও আছমা আক্তার এতিম হয়েছে। এতিম দুই শিশুর প্রবেশপত্র না দেওয়ায় আমি মাদ্রাসায় গেলে আমার সাথে অসদাচরণ করে মাদ্রাসার শিক্ষকরা। তাৎক্ষনিক আমাকে মাদ্রাসা থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন মাদ্রাসা সুপার মুফতি আকতারুজামান।

তাদের বাবা মারা যাওয়ার আগে এই শিশু দুটিসহ আর একটি সন্তান রেখে যায়। আমি পাবলিক স্কুলে আয়ার চাকরি করে তাদের লেখাপড়া এবং সংসার চালিয়ে আসছি। কিন্তু এবার মাত্র এক মাসের বেতনের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় আমার এতিম সন্তানদের পরীক্ষা দিতে দেয়নি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে মাদ্রাসা সুপারের সাথে একধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

দেবিদ্বারে বেতন দিতে না পারায় এতিম ছাত্রীদের পরীক্ষা দিতে দেয়নি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ

আপডেট সময় ০১:৫৯:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ

দেবিদ্বার উপজেলার ছোট আলমপুর আল মদিনা মহিলা মাদ্রাসায় বেতন না দিতে পারায় দুই শিশু শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেননি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি আকতারুজ্জামান পরিচালিত দেবিদ্বার পৌর এলাকার এ মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি আকতারুজ্জামান পরিচালিত দেবিদ্বার পৌর এলাকার এ মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

শিশু দুটির একমাত্র অভিভাবক মায়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান, গত পাচঁ বছর আগে বাবাকে হারিয়ে আজমা আক্তার ও আছমা আক্তার এতিম হয়েছে। এতিম দুই শিশুর প্রবেশপত্র না দেওয়ায় আমি মাদ্রাসায় গেলে আমার সাথে অসদাচরণ করে মাদ্রাসার শিক্ষকরা। তাৎক্ষনিক আমাকে মাদ্রাসা থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন মাদ্রাসা সুপার মুফতি আকতারুজামান।

তাদের বাবা মারা যাওয়ার আগে এই শিশু দুটিসহ আর একটি সন্তান রেখে যায়। আমি পাবলিক স্কুলে আয়ার চাকরি করে তাদের লেখাপড়া এবং সংসার চালিয়ে আসছি। কিন্তু এবার মাত্র এক মাসের বেতনের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় আমার এতিম সন্তানদের পরীক্ষা দিতে দেয়নি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে মাদ্রাসা সুপারের সাথে একধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।