দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার ওয়াহেদপুর ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। মাদরাসার সভাপতি কাজী শাহ আলম ও অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম পারস্পরিক যোগসাজশে নিজেদের ছেলে-মেয়েকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক প্রার্থী ও তাদের অভিভাবক।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন দুই পরীক্ষার্থীর অভিভাবক। অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত ও পুনরায় পরীক্ষার নেওয়ার দাবি জানান তারা।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সভাপতি ও অধ্যক্ষের ছেলে-মেয়ের নিয়োগের বিষয়টি আগে থেকেই ঠিক করা ছিলো। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও পরীক্ষা কার্যক্রম ছিলো লোক দেখানো। এছাড়াও ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলো ত্রুটিপূর্ণ ও প্রশ্নবিদ্ধ। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও অধ্যক্ষ পরস্পরের যোগসাজশে তাদের নিজেদের ছেলেমেয়েকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন।
এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বশিরুল আলম বলেন, সভাপতি ও অধ্যক্ষ পরস্পরের যোগসাজশে অবৈধভাবে নিজেদের ছেলে-মেয়েকে নিয়োগ দিয়েছেন। সভাপতি ও অধ্যক্ষের আস্থাভাজন কয়েকজন নিয়োগ বোর্ড পরিচালনা করে। প্রশ্নপত্র পরীক্ষার কয়েকদিন আগেই ফাঁস করা হয়। এছাড়াও লিখিত পরীক্ষার পূর্বে সভাপতি ও অধ্যক্ষের ছেলে-মেয়েকে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় নিয়োগ বোর্ড। মোটা অংকের নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে দাবি করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল ও পুনরায় পরীক্ষার দাবি করেন।
মাদরাসার অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম বলেন, সভাপতির মেয়ে ও আমার ছেলে নিয়োগপ্রার্থী হওয়ায় আমরা কেউ নিয়োগ বোর্ডে সদস্য ছিলাম না। পরীক্ষায় যারা সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে তারাই নিয়োগ পেয়েছে।
সভাপতি কাজী শাহ আলম বলেন, স্থানীয় কিছু লোক মাদরাসায় অযোগ্যদের নিয়োগ দিতে সুপারিশ করেন। নিয়োগ বোর্ড যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দিয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী আবদুল ওয়াহিদ সালেহ বলেন, নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগ হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি। যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।