দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও লক্ষ্য বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সুখী সমৃদ্ধ দেশ গঠনের অঙ্গীকার এবং মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য দ্রুত সম্পাদন ও জামাত-শিবিরসহ ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, ঘুষ-দূর্নীতি-জবর দখল বন্ধের জোর দাবী জানিয়ে রোববার সকালে যথাযোগ্য মর্যাদায় দেবীদ্বার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
দিনটি উদযাপনে দেবীদ্বার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধ চত্বর ও গণ কবরে পুস্প স্তবক অর্পণ করা হয় এ ছাড়া ন্যাপ, সিপিবি, উপজেলা প্রেসকাব, দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, সাংবাদিক ঐক্য ফোরাম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, গণ-সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শহীদদের স্মরণে একমিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন, আলোচনা সভা সহ নানা কর্মসূচি গ্রহন করে।
দিবসটি’র তাৎপর্য তুলে ধরে দেবীদ্বার মুক্তিযুদ্ধ চত্বরে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার’র সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক ঐক্য ফোরাম’র সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম সাইফুল ইসলাম মাসুম’র সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন, উপজেলা ন্যাপ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সহিদুল্লাহ সরকার, মোঃ খোরশেদ আলম সরকার, মনু মিয়া, উপজেলা সিপিবি সাধারন সম্পাদক সৈয়দ খলিলুর রহমান বাবুল, দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন’র সম্পাদক সাইফ উদ্দিন রনী, আ’লীগ নেতা হাজী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মজিবুল হক মান্নান, দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসকাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, সাংবাদিক ঐক্য ফোরাম’র সহ-সভাপতি হাজী মামুনুর রশীদ, সাধারন সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেন, জামাল উদ্দিন দুলাল, যুব ইউনিয়ন নেতা মোঃ শাহজাহান সরকার, মোঃ সোহেল রানা, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন, এডভোকেট সুদীপ রায়, এ,কে,এম ফজলুল আমিন খান রাসেল, এস,এম,মাসুদ রানা, এম,এ,হালিম, ফখরুল ইসলাম সাগর, মোঃ মোখলেছুর রহমান প্রমূখ।
মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য দ্রুত সম্পাদন আগামী প্রজন্মকে নিজ এলাকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে সহায়তা করা, মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিকালে অস্থায়ী মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষন ক্যাম্প ‘নলআরা’ এবং যুদ্ধকালীন সময়ে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা মন্ডলীর একমাত্র জীবিত সদস্য ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ’র নিজ গ্রাম এলাহাবাদে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সমাহিত শহীদদের কবরগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষন, দেবীদ্বার গনকবরে স্মৃতিস্তম্ভে ১৯ শহীদের নাম লিপিবদ্ধ করা, স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষনার মাত্র ৫ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ৩১ মার্চ অত্যাধুনিক অস্ত্রে সুসজ্জিত ১৫ সদস্যের একটি পাক সেনার দলকে পরাস্ত করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে দিনব্যাপী জনযুদ্ধে আত্মদান কারী ৩৩ শহীদ যোদ্ধাসহ সকল যুদ্ধাহতদের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ভূক্ত করা এবং ৪ ডিসেম্বর উপজেলা প্রশাসন কিংবা উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় মেলা সহ নিয়মিত পালনের জোর দাবী জানান।