মনির খাঁনঃ
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ধামতী উত্তর পাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ভোরে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় স্বর্ণা আক্তার মীম(১৯) মরদেহ উদ্ধার করে দেবিদ্বার থানা পুলিশ। তবে স্বর্ণার পরিবারের দাবি স্বর্ণা আত্মহত্যা করেনি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে চলছে এলাকায় নানা গুঞ্জন। ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে স্বর্ণার মরদেহ ।
মেয়েটি ধামতী হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও উপজেলা ধামতী উত্তর পাড়া মৃত মো. সামসুল হক’র মেয়ে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, স্বর্ণা ভালোবেসে গত ১৯ এপ্রিল কুমিল্লা কোর্টে বিয়ে করেন একই গ্রামের রহিম মাস্টারের ছেলে কামরুলকে। বিয়ের ১৬ দিন পর হাতের মেহেদির রং না মুছতেই মিলল নববধূ স্বর্ণার ঝুলন্ত লাশ। কিন্তু তাদের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি কামরুলের বাবা আ. রহিম মাস্টার। এতে বিপত্তি বাঁধে কামরুল ও স্বর্ণার নতুন সংসারে। বিয়ের পর থেকেই স্বর্ণা দেবীদ্বারে তার বড় বোনের বাসায় থাকতেন। পরে গত শনিবার স্বর্ণা দেবীদ্বারের বোনের বাড়ি থেকে ধামতী বাবার বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার ভোরে সেহেরির সময়ে বড় বোন শিল্পী স্বর্ণার মোবাইল বন্ধ পেয়ে পাশের ঘরের চাচীকে ফোন করে স্বর্ণার খোঁজ নেন। পরে স্বর্ণার চাচা ও চাচী স্বর্ণাকে ডাকাডাকি করে ঘরে না পেয়ে ঘরের পিছনের দরজা খোলা দেখতে পান। বাহিরে পুকুর পাড়ে একটি গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় স্বর্ণার লাশ দেখতে পান বাড়ির লোকজন।
এবিষয়ে স্বর্ণার স্বামী মো. কামরুল হাসান বলেন, রাত ১২টায় আমি ফোনে কথা বলেছি, ভোর রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে তার মৃত্যুর সংবাদে পেয়ে আমি ছুটে যাই, আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করতে পারে না, তাকে কেউ হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এদিকে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে একটি গাছ থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় স্বর্ণার লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এটি ময়নাতদন্তের পর রির্পোট পেলেই সঠিক রহস্য জানা যাবে।