ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের একমাত্র ওয়াই সেতুর সৌন্দর্য্য খাচ্ছে ভূমিখেকোরা

শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগর:

শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের একমাত্র ওয়াই আকৃতির ‘শেখ হাসিনা-তিতাস সেতু’ নির্মাণের দু’বছরের মাথায় সৌন্দর্য্য কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে একদল ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত দর্শনাথর্ীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। স্থানীয়দের জোর দাবি ভূমিখেকোদের হাত থেকে সেতু পাড়ের দখলকৃত জমি উদ্ধার করে অবিলম্বে সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে দেওয়ার।

বৃহত্তর কুমিল্লার বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মুরাদনগর উপজেলার সংযোগ স্থলে নির্মিত ওয়াই আকৃতির শেখ হাসিনা-তিতাস সেতুটি ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হয়। শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে উক্ত সেতু উদ্বোধন করেন। ৭৭১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮.১০ মিটার প্রস্ত এ সেতুটি ৯৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এলজিইডির অর্থায়নে বাস্তবায়ন করেছে নাভানা বিল্ডার্স।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজের পূর্ব পাড়ের চরলহনীয়া নামক স্থানে তিতাস নদীর ভিতরে প্রায় ২ একর জায়গা জুড়ে বিশাল বঁাধ দিয়ে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে স্থাপনা তৈরীর লক্ষে ভরাটের কাজ চলছে। তার পাশেই রয়েছে দু’টি কফি হাউজের স্থাপনা। যার ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে সৌন্দর্য্য হারাতে বসছে দেশের একমাত্র দৃষ্টিনন্দন ওয়াই সেতুটি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলেন, সেতুটি নির্মাণের পরে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মুরাদনগর উপজেলার প্রায় ১০ লক্ষ লোকের যাতায়াতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে। যার ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়টিকে পূঁজি করে হোটেল-মোটেল নির্মাণের পঁায়তারা করছে চরলহনীয়া গ্রামের মৃত মোতালিব হোসেনের ছেলে মোজাম্মেল হক, মৃত লাল মিয়ার ছেলে হারুন সরকার, আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে দিপু সরকার ও মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে হালিম সরকার। তাদের সমন্বয়ে গঠিত চক্রটি সফল হয়ে গেলে সেতুর আরো দুই পাশ বেদখল হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ জনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা নদী দখলের সাথে জড়িত নয় বলে জানায়। কে দখল করছে এমন প্রশ্নে নাম বলতে আপত্তি জানিয়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সারোয়ার বলেন, বিষয়টি আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে তিনজনকে কুপিয়ে জখম বাড়ি ভাঙচুর

দেশের একমাত্র ওয়াই সেতুর সৌন্দর্য্য খাচ্ছে ভূমিখেকোরা

আপডেট সময় ০২:৩৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০

শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগর:

শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের একমাত্র ওয়াই আকৃতির ‘শেখ হাসিনা-তিতাস সেতু’ নির্মাণের দু’বছরের মাথায় সৌন্দর্য্য কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে একদল ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত দর্শনাথর্ীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। স্থানীয়দের জোর দাবি ভূমিখেকোদের হাত থেকে সেতু পাড়ের দখলকৃত জমি উদ্ধার করে অবিলম্বে সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে দেওয়ার।

বৃহত্তর কুমিল্লার বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মুরাদনগর উপজেলার সংযোগ স্থলে নির্মিত ওয়াই আকৃতির শেখ হাসিনা-তিতাস সেতুটি ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হয়। শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে উক্ত সেতু উদ্বোধন করেন। ৭৭১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮.১০ মিটার প্রস্ত এ সেতুটি ৯৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এলজিইডির অর্থায়নে বাস্তবায়ন করেছে নাভানা বিল্ডার্স।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজের পূর্ব পাড়ের চরলহনীয়া নামক স্থানে তিতাস নদীর ভিতরে প্রায় ২ একর জায়গা জুড়ে বিশাল বঁাধ দিয়ে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে স্থাপনা তৈরীর লক্ষে ভরাটের কাজ চলছে। তার পাশেই রয়েছে দু’টি কফি হাউজের স্থাপনা। যার ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে সৌন্দর্য্য হারাতে বসছে দেশের একমাত্র দৃষ্টিনন্দন ওয়াই সেতুটি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলেন, সেতুটি নির্মাণের পরে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মুরাদনগর উপজেলার প্রায় ১০ লক্ষ লোকের যাতায়াতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে। যার ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়টিকে পূঁজি করে হোটেল-মোটেল নির্মাণের পঁায়তারা করছে চরলহনীয়া গ্রামের মৃত মোতালিব হোসেনের ছেলে মোজাম্মেল হক, মৃত লাল মিয়ার ছেলে হারুন সরকার, আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে দিপু সরকার ও মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে হালিম সরকার। তাদের সমন্বয়ে গঠিত চক্রটি সফল হয়ে গেলে সেতুর আরো দুই পাশ বেদখল হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ জনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা নদী দখলের সাথে জড়িত নয় বলে জানায়। কে দখল করছে এমন প্রশ্নে নাম বলতে আপত্তি জানিয়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সারোয়ার বলেন, বিষয়টি আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।