জাতীয় ডেস্কঃ
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মধ্যবর্তী নির্বাচন সংক্রান্ত বিএনপি’র দাবিকে হাস্যকর হিসেবে অভিহিত করেছেন।তিনি বলেন, ‘দেশে কোন মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে না। কারণ বাংলাদেশের ইতিহাসে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোন নজির নেই। জেনে শুনে বিএনপি হাস্যকর দাবি করছে’।
বৃহস্পতিবার বান্দরবান বোমাং সার্কেলের ১৪০তম বার্ষিক রাজপূণ্যাহ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আবদুর রাজ্জাক ও চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল জাহাংগীর কবির অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আইনি জটিলতা আইনগতভাবে সমাধান করার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ‘মিথ্যাচারের জন্য খালেদা জিয়াকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলেই পার্বত্য শান্তি-চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নসহ পাহাড়ে’র ভূমি সমস্যার সমাধান করা হবে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বান্দরবানে বোমাং সার্কেলের ১৭তম রাজা প্রকৌশলী উচপ্রু রাজবাড়ি থেকে এহিত্যমত উজির-নাজির, পাইক-পেয়াদাসহ প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিবৃন্দ এবং অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে শোভাযাত্রার মাধ্যমে রাজমাঠে স্থাপিত রাজদরবারে প্রবেশ করেন ।
৩ দিনব্যাপী রাজপূণ্যাহ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন, বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক ও পুলিশ সুপার সনজিত কুমার রায়। অনুষ্ঠানে রাজা প্রকৌশলী উচপ্রু স্বাগত বক্তব্য দেন। রাজপুণ্যাহ উৎসব চলবে তিনদিন। এ উপলক্ষে রাজমাঠে শুরু হয়েছে লোকজ মেলা। এছাড়াও রাজদরবারে এ জেলার ৭টি উপজেলা এবং রাংগামাটির ২টি উপজেলার ১০৯টি মৌজা প্রধান হেডম্যান এবং ২ হাজারেরও বেশি গ্রামপ্রধান কারবারী-রোয়াজারা তাদের এলাকার গ্রোভল্যান্ডের (তৃতীয় শ্রেণীর পাহাড়ি ভুমি) বার্ষিক খাজনা বা ভুমিকর গ্রহন করা হবে।
সেতু মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বোমাং রাজাকে শুভেচ্ছা জানান। এদিকে রাজপুন্যাহ অনুষ্ঠানকে ঘিরে বান্দরবান জেলা ছাড়াও রাংগামাটি, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার অঞ্চলসহ দেশের নানাস্থান থেকে মানুষের ঢল নেমেছে বান্দরবানে। জেলা সদর এবং আশপাশের আবাসিক হোটেল-মটেলসমুহ কানায় কানায় ভর্তি, কোথাও নেই তিলধারণের জায়গা।
স্থানীয় প্রশাসন আশা করছে, সারাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকায় এবারে রাজপুণ্যাহ উৎসবেও বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটবে। এদিকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজপূণ্যাহ উৎসব উপলক্ষ্যে শহরজুড়েই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নানাস্থানে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে।বাসস।