জাতীয় ডেস্কঃ
বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার বেড়েছে। একই সঙ্গে দেশে সিজারিয়ান প্রসবের হার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রতি লাখে ১৯৬ জন মায়ের মৃত্যু হচ্ছে। ২০১০ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৯৪। আর ২০১৬ তে সিজারিয়ান প্রসবের হার দাঁড়িয়েছে ৩১ শতাংশে। ২০১০ সালে এ হার ছিল ১২ শতাংশ।
আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা জরিপ ২০১৬’-এর প্রাথমিক ফলাফলে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (এনআইপিওআরটি), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ও মার্কিন দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি এই জরিপ করেছে।
জরিপে বলা হয়, দেশে সিজারিয়ানের মাধ্যমে বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে ৮৩ শতাংশ, সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩৫ শতাংশ এবং এনজিওর হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে ৩৯ শতাংশ মা সন্তান জন্ম দেন।
২০১৫ সালের নভেম্বরে ‘মাতৃমৃত্যুর প্রবণতা: ১৯৯০ থেকে ২০১৫’ (ট্রেন্ডস ইন মেটার্নাল মরটালিটি: ১৯৯০ টু ২০১৫) শীর্ষক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২৫ বছরে মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ । জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ শিশু তহবিল, জাতিসংঘ জনসংখ্যা বিভাগ ও বিশ্বব্যাংক যৌথভাবে এই প্রতিবেদন তৈরি করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়- গর্ভাবস্থায়, সন্তান জন্মদানের সময় এবং সন্তান জন্মের ছয় সপ্তাহের মধ্যে মায়ের মৃত্যু হলে সেটাই ‘মাতৃমৃত্যু’।