জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গোটা দেশ এখন দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশকে একটা নতজানু দেশে পরিণত করতে চেয়েছিল। বর্তমানেও সেই উদ্দেশেই তারা কাজ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিএনপির স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী জাতীয় উদযাপন কমিটির উদ্যোগে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে ‘ব্যক্তিখাত বিকাশে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও মুক্তবাজার অর্থনীতি’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের কয়েকদিন আগে দেখলাম দুদকের যিনি প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন তার নামেও দুর্নীতির অভিযোগ চলে এসেছে।
তিনি বলেন, সরকার কী করেছে? একটা মিথ তৈরি করতে চায়। মিথটা কি যে, সাউথ ইস্ট এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একটা রোল মডেল মধ্য আয়ের দেশ, উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ। ইটস এ টোটালি একটা ভোগাস, একটা মিথ ছাড়া কিছু না। তারা প্রচার-প্রচারণার মধ্যে দিয়ে আজকে সেই কথাটা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাস্তব অবস্থাটা হচ্ছে, এখন এদেশে প্রায় ছয় কোটি লোক দারিদ্র সীমার নিচে। আজকে করোনার যে আঘাত সেই আঘাত সহ্য করতে পারছে না বাংলাদেশ। একদিকে কিছু লোক লুট-দুর্নীতির মধ্য দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে দরিদ্র মানুষ আরো দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অর্থনৈতিক সংস্কারের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭২ সালে পশ্চিমা বিশ্ব বলুন, গণতান্ত্রিক বিশ্ব বলুন, তারা মনে করতো যে, বাংলাদেশ ইজ এ বাসকেট কেস, এটা ফেইল্ড স্টেট হয়ে যাবে এখান থেকে বাঁচানোর কোনো পথ নেই। সেখান থেকে জিয়াউর রহমান তুলে নিয়ে এসেছিলেন। পটেনশিয়াল ইকোনমির দেশ হিসেবে। একটা সম্ভাবনাময় জাতি নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন। তার মধ্যে কোনো সাম্প্রদায়িকতা ছিল না। একজন আধুনিক মানুষ আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন।
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান।