অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে বাড়তে থাকা ‘মানবিক ও নিরাপত্তা সংকট’ নিরসনে সেখানে দেয়াল নির্মাণ করতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেওয়া ৮ মিনিটের ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিবিসির।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট বলেন, ডেমোক্রেটদের কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারের অচলাবস্থা এখনো চলছে। মেক্সিকো সীমান্তের পরিস্থিতিকে ‘মানবিক সংকট, হৃদয় ও আত্মার সংকট’ হিসেবেও অভিহিত করেন তিনি।
ট্রাম্প বলেছেন, নতুন করে উত্তর আমেরিকান রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে সেখান থেকে দেয়াল নির্মাণের অর্থ উঠে আসবে। যদিও চুক্তিটি এখনো অনুমোদিত হয়নি।
অর্থনীতিবিদরা ট্রাম্পের এ ধারণাকে খারিজ করে দিয়েছেন। ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া মাদক হেরোইনের ৯০ শতাংশই মেক্সিকো থেকে আসে বলেও জানান। ডেমোক্রেটরা এখন সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের বিরোধিতা করলেও এক যুগ আগে তারাই এর পক্ষে ছিল বলেও মনে করিয়ে দেন তিনি।
২০০৬ সালে সীমান্তের ৭০০ মাইলজুড়ে নিরাপত্তাবেষ্টনি নির্মাণের একটি প্রস্তাবে চাক শুমার, বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটন ও জো বাইডেনের সায় ছিল। ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে ইস্পাতের দেয়াল নির্মাণে কংগ্রেসের কাছে মোট ৫৭০ কোটি ডলার চেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে যেকোনো মূল্যে এ দেয়াল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ছিল তার। ডেমোক্রেটরা বলছেন, তারা সাধারণ মানুষের করের টাকায় দেয়াল নির্মাণের পক্ষপাতী নন।
দুই পক্ষের এই অনড় অবস্থানের কারণে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের এক চতুর্থাংশ বিভাগ ও সংস্থায় দুই সপ্তাহর বেশি সময় ধরে অচলাবস্থা চলছে। ট্রাম্পের বক্তব্যের পর শীর্ষ ডেমোক্রেট নেতারা দেয়াল নির্মাণের অর্থ পেতে ট্রাম্প মার্কিন জনগণকে জিম্মি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন। ১৮ দিন ধরে চলা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এ অচলাবস্থার কারণে লাখ লাখ সরকারি কর্মী বেকার অবস্থায় বসে আছে। ট্রাম্পের ভাষণের পর মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি শিগগিরই অচলাবস্থা নিরসনে ব্যবস্থা নিতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।