মাহবুব আলম আরিফঃ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কবিতীর্থ দৌলতপুরে ১১ ও ১২ জ্যৈষ্ঠ (২৫ ও ২৬ মার্চ) দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা রবিবার বিকেলে শেষ হয়েছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হোসেন ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর।
নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এএমএম মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিতু মরিয়ম।
‘নজরুল চেতনায় বঙ্গবন্ধু’ প্রবন্ধ পাঠ করবেন, কালের কণ্ঠের মুরাদনগর প্রতিনিধি প্রভাষক, আজিজুর রহমান রনি ও সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, এ দৌলতপুর আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুলের জীবনে ও সাহিত্যে এক নান্দনিক মাত্রা দিয়েছেন। এখানেই ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরি আর হাতে রণতুর্যের ঝংকার বেজেছিল নার্গিসের সুপ্ত ভালোবাসার সংস্পর্শে।
দৌলতপুরে আড়াই মাস দিন যাপন করে কবি ১৬০টি গান এবং ১২০টি কবিতা রচনা করেন। অথচ দেশ স্বাধীন হওয়ার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও দ্রোহ, প্রেম, মানবতা ও সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ঘিরে কবির স্মৃতি বিজরিত দৌলতপুরে আজো গড়ে উঠেনি কোন ইনস্টিটিউট, শিল্প ও সাহিত্যচর্চা বা কোন নজরুল গবেষনা কেন্দ্র। শুধু বছরে দু’দিন স্থানীয় প্রশাসনের আয়োজনে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন হয়। ফলে নজরুল বক্তদের মাঝে রয়েছে চাঁপা ক্ষোভ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নূরুল ইসলাম, বাবলু আলী খাঁন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, কাইয়ুম ভূইয়া প্রমুখ।
আলোচনা শেষে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পিরা ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন। পুরস্কার বিতরণ শেষে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষনা করেন মুরাদনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিতু মরিয়ম।