ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় টেস্টেও খালেদা জিয়া করোনা পজিটিভ

জাতীয় ডেস্কঃ

খালেদা জিয়ার করোনার নমুনা পরীক্ষার ফল আবারও পজিটিভ এসেছে। তিনি ছাড়াও বাসার আরো তিনজনের করোনা ফের পজিটিভ এসেছে বলে জানিয়েছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দিকী। রবিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১২ টা ৫০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলনে করে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যাক্তিগত চিকিৎসক দলের এই প্রধান ।

তিনি বলেন, আজ বেগম জিয়ার শারীরিক সবগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে রিপোর্ট ভালো আসছে। করোনার দ্বিতীয় সপ্তাহের যে জটিলতা তিনি সেটা কাটিয়ে উঠেছেন। আশা করছি ৫-৬ দিন পর আবার টেস্ট করলে তিনি নেগেটিভ হয়ে যাবেন করোনা থেকে।

এর আগে রাত ১০টায় খালেদা জিয়ার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে যান ডা. সিদ্দিকী এবং ডা. জাহিদ হোসেন।এছাড়া শনিবার দুপুরে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের একজন টেকনোলজিস্ট বিএনপি নেত্রীর গুলশানের ফিরোজা ভবনে এসে তার নমুনা নিয়ে যান বলে দলীয় একটি সূত্র জানায়।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গুলশানের বাসভবন ফিরোজার দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে চিকিৎসা চলছে বিএনপি নেত্রীর। এর মধ্যে ১৫ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়। তখন খালেদা জিয়া ছাড়াও তার বাসার অন্তত ৯ জন করোনা আক্রান্ত।

করোনায় আক্রান্ত হলেও বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে খালেদা জিয়ার জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট কোনো উপসর্গ নেই। তার চিকিৎসার তদারকিতে রয়েছেন লন্ডনে অবস্থান করা তার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়। ২০০৮ সালের ৮ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদার। পরে উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে করে ১০ বছর। ওই বছরই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর বিএনপি নেত্রীকে দেশের বাইরে না যাওয়া ও বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর দুই দফা বাড়ানো হয় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

দ্বিতীয় টেস্টেও খালেদা জিয়া করোনা পজিটিভ

আপডেট সময় ০৪:২৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১

জাতীয় ডেস্কঃ

খালেদা জিয়ার করোনার নমুনা পরীক্ষার ফল আবারও পজিটিভ এসেছে। তিনি ছাড়াও বাসার আরো তিনজনের করোনা ফের পজিটিভ এসেছে বলে জানিয়েছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দিকী। রবিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১২ টা ৫০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলনে করে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যাক্তিগত চিকিৎসক দলের এই প্রধান ।

তিনি বলেন, আজ বেগম জিয়ার শারীরিক সবগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে রিপোর্ট ভালো আসছে। করোনার দ্বিতীয় সপ্তাহের যে জটিলতা তিনি সেটা কাটিয়ে উঠেছেন। আশা করছি ৫-৬ দিন পর আবার টেস্ট করলে তিনি নেগেটিভ হয়ে যাবেন করোনা থেকে।

এর আগে রাত ১০টায় খালেদা জিয়ার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে যান ডা. সিদ্দিকী এবং ডা. জাহিদ হোসেন।এছাড়া শনিবার দুপুরে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের একজন টেকনোলজিস্ট বিএনপি নেত্রীর গুলশানের ফিরোজা ভবনে এসে তার নমুনা নিয়ে যান বলে দলীয় একটি সূত্র জানায়।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গুলশানের বাসভবন ফিরোজার দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে চিকিৎসা চলছে বিএনপি নেত্রীর। এর মধ্যে ১৫ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়। তখন খালেদা জিয়া ছাড়াও তার বাসার অন্তত ৯ জন করোনা আক্রান্ত।

করোনায় আক্রান্ত হলেও বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে খালেদা জিয়ার জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট কোনো উপসর্গ নেই। তার চিকিৎসার তদারকিতে রয়েছেন লন্ডনে অবস্থান করা তার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়। ২০০৮ সালের ৮ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদার। পরে উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে করে ১০ বছর। ওই বছরই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর বিএনপি নেত্রীকে দেশের বাইরে না যাওয়া ও বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর দুই দফা বাড়ানো হয় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ।