ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় ম্যাচেও অসহায় হার : সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের

খেলাধূলা ডেস্কঃ

ভারতের দেরাদুনে ক্রিকেট বিশ্বের নবিন সদস্য আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও অসহায়ভাবে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ফলে এক ম্যাচ বাকী থাকতেই সিরিজ হতছাড়া করল টাইগাররা।

বলতে গেলে এক রশিদ খানের কাছেই ধরাশায়ী হলো সাকিব বাহিনী। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে এই স্পিন বিস্ময়ের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে মাত্র ১৩৪ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় টাইগার শিবির। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ বল বাকী থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানরা। এর আগে আজ মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। ভারতের দেরাদুনে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় মাঠে নামে দু’দল।

শুরুতেই টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে নির্ধারিত ২০ ওভার খেললেও ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলেন ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ দিকে আবু হায়দার রনির ব্যাটে কিছুটা সম্মানজনক স্কোর করতে পরে দলটি। ১৪ বলে ২ট ছক্কা ও এক চারে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২১ রানে অপরাজিত থাকেন রনি। এর আগে দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর করেন তামিম ইকবাল।

এদিন ম্যাচের শুরুতেই দলীয় দ্বিতীয় ওভারে শাপুর জাদরানের প্রথম বলেই মারতে গিয়ে রশিদ খানের ক্যাচে মাঠ ছাড়েন লিটন দাশ। ৩ বলে ১ রান করেন তিনি। আগের ওভারে টানা তিনটি চার মেরে দারুণ কিছুর সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সাব্বির রহমান। কিন্তু পঞ্চম ওভারে মোহাম্মদ নবীর বলে উচিয়ে মারতে গিয়ে শেনওয়ারির ক্যাচ হন। ৯ বলে তিনটি চারে ১৩ করেন তিনি।

লিটন ও সাব্বিরে বিদায়ের পর ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন রানের চাকা এগিয়ে দেন মুশফিকুর রহিম। তবে দলীয় দশম ওভারে নবীর বলে উইকেট যেন বিলিয়ে দেন মুশি। এগিয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন তিনি। ১৮ বলে একটি চার ও সমান ছক্কায় ২২ রান করেন তিনি। পরে ৮ বলে ১৪ রান করে মাহমুদউল্লাহও বিদায় নেন। করিম জানাতের শিকার হন তিনি।

১৬তম ওভারের প্রথম বলে রশিদ খানের শিকার হন সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত ৩ রান করেন তিনি। একই ওভারের চতুর্থ বলে তামিম ইকবালকে বোল্ড করেন এই তারকা। ৪৮ বলে ৫টি চারের সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ করেন তামিম। পরের বলেই মোসাদ্দেক হোসেনকে শূন্য রানে এলবির ফাঁদে ফেলে ওভার হ্যাটট্রিক করেন রশিদ। রশিদ প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৯ রান দেয়ার পর তৃতীয় ওভারে উইকেট নিতে শুরু করেন।

আফগান বোলারদের মধ্যে রশিদ ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন। নবী ৪ ওভারে ১৯ রানে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট পান শাপুর জানাত ও করিম জানাত। তার আগে গত রোববার একই ভ্যেনুতে প্রথম ম্যাচে ৪৫ হারে বাংলাদেশ।আর একই ভ্যেনুতে এই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

দ্বিতীয় ম্যাচেও অসহায় হার : সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের

আপডেট সময় ০৮:৪৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুন ২০১৮
খেলাধূলা ডেস্কঃ

ভারতের দেরাদুনে ক্রিকেট বিশ্বের নবিন সদস্য আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও অসহায়ভাবে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ফলে এক ম্যাচ বাকী থাকতেই সিরিজ হতছাড়া করল টাইগাররা।

বলতে গেলে এক রশিদ খানের কাছেই ধরাশায়ী হলো সাকিব বাহিনী। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে এই স্পিন বিস্ময়ের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে মাত্র ১৩৪ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় টাইগার শিবির। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ বল বাকী থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানরা। এর আগে আজ মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। ভারতের দেরাদুনে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় মাঠে নামে দু’দল।

শুরুতেই টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে নির্ধারিত ২০ ওভার খেললেও ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলেন ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ দিকে আবু হায়দার রনির ব্যাটে কিছুটা সম্মানজনক স্কোর করতে পরে দলটি। ১৪ বলে ২ট ছক্কা ও এক চারে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২১ রানে অপরাজিত থাকেন রনি। এর আগে দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর করেন তামিম ইকবাল।

এদিন ম্যাচের শুরুতেই দলীয় দ্বিতীয় ওভারে শাপুর জাদরানের প্রথম বলেই মারতে গিয়ে রশিদ খানের ক্যাচে মাঠ ছাড়েন লিটন দাশ। ৩ বলে ১ রান করেন তিনি। আগের ওভারে টানা তিনটি চার মেরে দারুণ কিছুর সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সাব্বির রহমান। কিন্তু পঞ্চম ওভারে মোহাম্মদ নবীর বলে উচিয়ে মারতে গিয়ে শেনওয়ারির ক্যাচ হন। ৯ বলে তিনটি চারে ১৩ করেন তিনি।

লিটন ও সাব্বিরে বিদায়ের পর ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন রানের চাকা এগিয়ে দেন মুশফিকুর রহিম। তবে দলীয় দশম ওভারে নবীর বলে উইকেট যেন বিলিয়ে দেন মুশি। এগিয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন তিনি। ১৮ বলে একটি চার ও সমান ছক্কায় ২২ রান করেন তিনি। পরে ৮ বলে ১৪ রান করে মাহমুদউল্লাহও বিদায় নেন। করিম জানাতের শিকার হন তিনি।

১৬তম ওভারের প্রথম বলে রশিদ খানের শিকার হন সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত ৩ রান করেন তিনি। একই ওভারের চতুর্থ বলে তামিম ইকবালকে বোল্ড করেন এই তারকা। ৪৮ বলে ৫টি চারের সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ করেন তামিম। পরের বলেই মোসাদ্দেক হোসেনকে শূন্য রানে এলবির ফাঁদে ফেলে ওভার হ্যাটট্রিক করেন রশিদ। রশিদ প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৯ রান দেয়ার পর তৃতীয় ওভারে উইকেট নিতে শুরু করেন।

আফগান বোলারদের মধ্যে রশিদ ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন। নবী ৪ ওভারে ১৯ রানে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট পান শাপুর জানাত ও করিম জানাত। তার আগে গত রোববার একই ভ্যেনুতে প্রথম ম্যাচে ৪৫ হারে বাংলাদেশ।আর একই ভ্যেনুতে এই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার।