জাতীয় ডেস্কঃ

নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনের প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সারা দেশে আজ গণজোয়ার উঠেছে। নৌকার পক্ষে নারী, পুরুষ এবং তরুণদের গণজোয়ার দেখে বিএনপি নেতাকর্মীরা নৌকায় যোগ দিচ্ছে। সারা বাংলায় ধানের শীষ এখন নৌকায় উঠেছে।’

এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘জনগণের সাড়া না পেয়ে বিএনপি এখন প্রতিদিন নির্বাচন কমিশন এবং বিদেশীদের কাছে নালিশ করে বেড়াচ্ছে। নালিশ ছাড়া তাদের আর কোনো সম্বল নেই। বিএনপিকে কোথাও দেখি না। তারা ঘরে বসে বসে শুধু গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে, আর নালিশ করে।’

শেখ হাসিনা সরকারের চলমান উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে নারীবান্ধব সরকার। নারীদের উন্নয়নে শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে নারীরা হাইকোর্টের বিচারপতি, সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও সচিবও হয়েছেন। নারীরা আজ সম্মানিত হচ্ছেন।’

নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারের আমলে নারীরা বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, সন্তানের উপবৃত্তির টাকা মোবাইলের মাধ্যমে পাচ্ছেন। কে দিয়েছেন এই সম্মান? শেখ হাসিনা। আগে সন্তানের পরিচয়ে শুধু পিতার নাম লেখা হতো। বর্তমানে সন্তানের পরিচয়ে পিতার নামের সঙ্গে মায়ের নামও লিখতে হয়।’

এসব সম্মানের জন্য আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিতে তিনি নারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে নারীরা অনেক ক্ষমতাবান। এ জন্য উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ৩০ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার সম্মানে নৌকা প্রতীককে জয়যুক্ত করুন। তাহলে নোয়াখালীবাসীও সম্মানিত হবে।’

ওবায়দুল কাদের তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের সমালোচনা করে বলেন, ‘তিনি ৪০ বছর একটি বাড়ি দখল করে রেখেছিলেন। মৃত ব্যক্তির নামে ভুয়া কাগজপত্র আদালতে জমা দিয়ে বাড়িটি রক্ষা করতে চেয়েও পারেননি। তিনি মির্জা ফখরুলের মতো নালিশ করার পথ ধরেছেন। ওনার দুঃখ, তিনি যেখানেই যান লোকজন হয় না। কারণ ওনার কার্যকলাপ ভালো নয়। ওনার ঝুলিতে কোনো উন্নয়ন নেই।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার ১২ বছরের উন্নয়ন আর মওদুদ আহমেদ সাহেবের ২২ বছরের উন্নয়নের মধ্যে মিলিয়ে দেখুন। যদি আমার উন্নয়ন উনার চেয়ে ভালো না হয়, তাহলে আমি ভোট চাই না। আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় নির্বাচিত হলে আমরা প্রত্যেক গ্রামকে শহরে পরিণত করবো।’

তিনি বলেন, ‘নোয়াখালীর দুঃখ নোয়াখালী খাল পুনঃখননের জন্য শেখ হাসিনা ৫শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। সেনাবাহিনীর তদারকিতে এ খনন কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হলে শুধু এলাকা নয়, নোয়াখালীর বিস্তীর্ণ এলাকার অনাবাদি জমিগুলো চাষের আওতায় আসবে ও এক ফসলি জমি, তিন ফসলি জমিতে পরিণত হবে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে। এতে করে শুধু নোয়াখালী নয়, সারা দেশের মধ্যে নোয়াখালী হবে অধিক ফসল উৎপাদনের জেলা। পরে ওবায়দুল কাদের চরমণ্ডলীয়া, ধানশালিক ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর ও কোম্পানীগঞ্জের শাহজাদপুরে পথসভাগুলোতে বক্তব্য রাখেন।’

এসব পথসভায় আরো বক্তব্য রাখেন কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক ও কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক ও ধানশালিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামাল প্রমুখ।

এদিকে ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, রবিবার তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নোয়াখালী-২ আসনের সেনবাগ উপজেলা সদরে সকাল ১১টায়, দুপুর ১২টা ও ১টায় নোয়াখালী-১ আসনের সোনাইমুড়ী ও চাটখিল সদরে প্রার্থীদের সমর্থনে সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।