ঢাকা ১১:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন বছর মাতাবে যেসব ঢাকাই ছবি

বিনোদন ডেস্ক:

বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য ২০১৯ সালটা মোটেও সুখকর নয়। চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির তথ্য মতে, এ বছর বাণিজ্যিক ও বিকল্প ধারার ছবি মিলিয়ে মুক্তি পেয়েছে ৫৭টি ছবি। এর মধ্যে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবি দুটি। ভারত থেকে সাফটা চুক্তির আওতায় আমদানি ছবির সংখ্যা ১০টি। মুক্তিপ্রাপ্ত নিরেট দেশি ছবি ৪৫টি।

তবে পুরনোকে ঝেড়ে নতুন বছরে নতুন স্বপ্ন নিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্র এগিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা করছেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের মানুষরা। কারণ নতুন বছরে বেশ কিছু  ভালো ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। চলচ্চিত্র-বোদ্ধারা বলছেন, ছবিগুলো মুক্তি পেলে হয়তো ইন্ডাস্ট্র্রি আবার ঘুরে দাঁড়াবে। ব্যবসার মুখ দেখবে চলচ্চিত্রপাড়া। চলুন দেখে নিই, কোন সে ছবিগুলো-

বীর: শাকিব খান ঢালিউডের কিং হিসেবে রাজত্ব করছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। ২০১৯ সালে তার অভিনীত ‘পাসওয়ার্ড’ একমাত্র ব্যবসা সফল ছবির তকমা পায়। নতুন বছর ‘বীর’ দিয়ে যাত্রা করছেন এ নায়ক। সঙ্গে আছেন নায়িকা শবনম বুবলী। এছাড়া এ ছবির মাধ্যমে কাজী হায়াত তার ক্যারিয়ারের অর্ধশত ছবি পরিচালনার কোটা পূরণ করছেন। ছবিটি ২০২০ সালের মার্চে মুক্তি পাবে।

বিশ্ব সুন্দরী: এটি পরিচালনা করছেন জনপ্রিয় নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। এটি তার পরিচালনায় প্রথম চলচ্চিত্র। এর প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ ও চিত্রনায়িকা পরীমনি। এ ছবি নিয়ে বেশ আশাবাদী পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। আশাবাদী এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেই। শুটিং শেষ, নতুন বছরের শুরুর দিকেই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা।

শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু: ১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া রিয়াজ-শাবনূর জুটির ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ এর দ্বিতীয় কিস্তি হচ্ছে ‘ শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু’। প্রথমটির মতো এটিও পরিচালনা করেছেন দেবাশীষ বিশ্বাস। এ ছবির নায়িক-নায়িকা অপু বিশ্বাস ও বাপ্পী চৌধুরী। গেল দূর্গাপুজায় ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পায়নি। পরিচালক জানান, নতুন বছরে উৎসব দেখে ছবিটি মুক্তি দেয়া হবে।

মিশন এক্সট্রিম: এ ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশার পারদ আকাশছোঁয়া। ২০১৭ সালে ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর ব্যাপক সাফল্যের পর একই প্রযোজনা সংস্থা আনছে ‘মিশন এক্সট্রিম’। পরিচালক ফয়সাল আহমেদ। আগেরটির মতো এই ছবিতেও আছেন আরেফিন শুভ, তাসকিন আহমেদ ও শতাব্দী ওয়াদুদেদের মতো অভিনেতারা। নতুন যুক্ত হয়েছেন গত বছর ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ খেতাব জেতা জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, মনোজ কুমার ও ইরেশ যাকের। নতুন বছরে ঈদুল ফিতরে ছবিটি মুক্তি পাবে।

ঢাকা ২০৪০: ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর পরিচালক দীপংকর দীপন এই ছবিটি পরিচালনা করছেন। এটি তার কেরিয়ারের দ্বিতীয় ছবি। ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর মতো এ ছবিতেও তিনি চমক দেখাবেন বলে মনে করছেন সবাই। নতুন এই ছবিতে চমক হিসেবে আছেন বাপ্পী চৌধুরী, নুসরাত ইমরোজ তিশা, নুসরাত ফারিয়া ও তাসকীন রহমান। পরিচালক জানান, টানা কাজ করে শুটিং শেষ করা হবে। এরপর নতুন বছরে ছবিটি মুক্তি পাবে।

অপারেশন সুন্দরবন: দীপংকর দীপনের আরেক স্বপ্নের ছবি ‘অপারেশন সুন্দরবন’। সুন্দরবনের জলদস্যু নির্মূল নিয়ে র‌্যাবের সার্বিক সহযোগিতায় নির্মিত হচ্ছে ছবিটি। এই ছবিও নতুন বছরে মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে পরিচালকের। আরও একটু নির্দিষ্ট করে বললে, ঈদুল আযহায় মুক্তি পেতে পারে ‘অপারেশন সুন্দরবন’। তারকাবহুল এই ছবিতে আছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ, সিয়াম আহমেদ, নুসরাত ফারিয়া, রোশান, তাসকিন ও মনোজ কুমার।

পাপ-পূণ্য: এ ছবিটি নির্মাণ করছেন ‘মনপুরা’ ও ‘স্বপ্নজাল’-এর পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম। পরিচালকের ভাষায় এটি লাভ থ্রিলার হবে। নতুন বছরের ভালোবাসা দিবসে মুক্তির পরিকল্পনা করে ‘পাপ-পূণ্য’ নির্মিত হচ্ছে। মফস্বল অঞ্চলের ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই সিনেমা দিয়ে অনেক বছর পর অভিনয়ে ফিরছেন আফসানা মিমি। সেখানে আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম ও ফজলুর রহমান বাবু।

শান: সিয়াম আহমেদের আরেক ছবি ‘শান’। পরিচালনায় আছেন নবীন নির্মাতা এম রহিম। এখানে সিয়ামের নায়িকা পূজা চেরি। আর আছেন তাসকিন রহমান। মুক্তির চূড়ান্ত তারিখ জানাতে না পারলেও নতুন বছরে কোনও উৎসবকে সামনে নিয়ে ছবিটি মুক্তি পাবে বলে জানান পরিচালক।

রিকশা গার্ল: ‘আয়নাবাজি’র পর নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরীর পরবর্তী সিনেমা ‘রিকশা গার্ল’। ছবিটি চলতি বছরে মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে পরিচালক জানান, নতুন বছরের মার্চে মুক্তি পাবে ‘রিকশা গার্ল’।

বিউটি সার্কাস: বেশ আয়োজন করেই শুরু হয়েছিল নাট্যনির্মাতা মাহমুদ দিদারের ‘বিউটি সার্কাস’ ছবির শুটিং। শুরুর পর অনেকদিন ধরে আটকে আছে সিনেমাটি। জয়া আহসান অভিনীত ছবিটির টিজার প্রকাশের পর দর্শকদের প্রত্যাশা বাড়ে। পরিচালক জানান, নতুন বছরের পহেলা বৈশাখে মুক্তি দেয়া হবে ছবিটি।

হাওয়া: টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনের প্রথম ছবি এটি। সমুদ্রে দুঃসাহসিক যাত্রার কাহিনি নিয়ে নির্মিত এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে আছেন চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজসহ অনেকে। নতুন বছরে ছবিটি মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন সুমন।

পরাণ: ‘পোড়ামন টু’ ও ‘দহন’-এর পর পরিচালক রায়হান রাফি নির্মাণ করছেন ত্রিভুজ প্রেমের গল্পের ছবি ‘পরাণ’। ইতোমধ্যে ছবির পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে, যা প্রশংসিত হয়েছে দর্শকদের কাছে। পরিচালক জানিয়েছেন, নতুন বছরে ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পাবে ‘পরাণ’।

ডেঞ্জার জোন: নতুন পরিচালক বেলাল সানী নির্মাণ করেছেন ছবিটি। শুটিং বেশ আগে শুরু হলেও চলতি বছরের শেষে ছবির শুটিং শেষ হয়। এখন চলছে এডিটিং। বাপ্পী চৌধুরী ও জলি জুটির এ ছবি ভৌতিক গল্পের। ছবিটি নতুন বছরে মুক্তি পাবে বলে জানান পরিচালক।

গাঙচিল ও জ্যাম: এই দুটি ছবিই পরিচালনা করছেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল। এছাড়া দুটি ছবিতেই নায়ক-নায়িকার ভূমিকায় রয়েছেন ফেরদৌস আহমেদ ও পূর্ণিমা। এর মধ্যে ‘গাঙচিল’ ছবিটি নির্মিত হচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের লেখা ‘গাঙচিল’ উপন্যাস অবলম্বনে। ফেরদৌস-পূর্ণিমা জুটির এই দুটি ছবিই নতুন বছরে মুক্তি পাবে।

এছাড়া রায়হান রাফী পরিচালিত ‘স্বপ্নবাজী’, ‘ইত্তেফাক’, সৈকত নাসিরের ‘ক্যাসিনো’ এবং তরুণ পরিচালক সাইফ চন্দনের ‘ওস্তাদ’, ‘মন্ত্র’, ‘কাপ্তান’ ও ‘কয়লা’সহ বেশ কয়েকটি ছবি আসছে নতুন বছরে। নতুন বছরে এসব ছবি মুক্তি পেলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্র্রি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন সিনে-বোদ্ধারা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

নতুন বছর মাতাবে যেসব ঢাকাই ছবি

আপডেট সময় ০৭:২২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

বিনোদন ডেস্ক:

বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য ২০১৯ সালটা মোটেও সুখকর নয়। চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির তথ্য মতে, এ বছর বাণিজ্যিক ও বিকল্প ধারার ছবি মিলিয়ে মুক্তি পেয়েছে ৫৭টি ছবি। এর মধ্যে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবি দুটি। ভারত থেকে সাফটা চুক্তির আওতায় আমদানি ছবির সংখ্যা ১০টি। মুক্তিপ্রাপ্ত নিরেট দেশি ছবি ৪৫টি।

তবে পুরনোকে ঝেড়ে নতুন বছরে নতুন স্বপ্ন নিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্র এগিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা করছেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের মানুষরা। কারণ নতুন বছরে বেশ কিছু  ভালো ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। চলচ্চিত্র-বোদ্ধারা বলছেন, ছবিগুলো মুক্তি পেলে হয়তো ইন্ডাস্ট্র্রি আবার ঘুরে দাঁড়াবে। ব্যবসার মুখ দেখবে চলচ্চিত্রপাড়া। চলুন দেখে নিই, কোন সে ছবিগুলো-

বীর: শাকিব খান ঢালিউডের কিং হিসেবে রাজত্ব করছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। ২০১৯ সালে তার অভিনীত ‘পাসওয়ার্ড’ একমাত্র ব্যবসা সফল ছবির তকমা পায়। নতুন বছর ‘বীর’ দিয়ে যাত্রা করছেন এ নায়ক। সঙ্গে আছেন নায়িকা শবনম বুবলী। এছাড়া এ ছবির মাধ্যমে কাজী হায়াত তার ক্যারিয়ারের অর্ধশত ছবি পরিচালনার কোটা পূরণ করছেন। ছবিটি ২০২০ সালের মার্চে মুক্তি পাবে।

বিশ্ব সুন্দরী: এটি পরিচালনা করছেন জনপ্রিয় নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। এটি তার পরিচালনায় প্রথম চলচ্চিত্র। এর প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ ও চিত্রনায়িকা পরীমনি। এ ছবি নিয়ে বেশ আশাবাদী পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। আশাবাদী এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেই। শুটিং শেষ, নতুন বছরের শুরুর দিকেই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা।

শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু: ১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া রিয়াজ-শাবনূর জুটির ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ এর দ্বিতীয় কিস্তি হচ্ছে ‘ শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু’। প্রথমটির মতো এটিও পরিচালনা করেছেন দেবাশীষ বিশ্বাস। এ ছবির নায়িক-নায়িকা অপু বিশ্বাস ও বাপ্পী চৌধুরী। গেল দূর্গাপুজায় ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পায়নি। পরিচালক জানান, নতুন বছরে উৎসব দেখে ছবিটি মুক্তি দেয়া হবে।

মিশন এক্সট্রিম: এ ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশার পারদ আকাশছোঁয়া। ২০১৭ সালে ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর ব্যাপক সাফল্যের পর একই প্রযোজনা সংস্থা আনছে ‘মিশন এক্সট্রিম’। পরিচালক ফয়সাল আহমেদ। আগেরটির মতো এই ছবিতেও আছেন আরেফিন শুভ, তাসকিন আহমেদ ও শতাব্দী ওয়াদুদেদের মতো অভিনেতারা। নতুন যুক্ত হয়েছেন গত বছর ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ খেতাব জেতা জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, মনোজ কুমার ও ইরেশ যাকের। নতুন বছরে ঈদুল ফিতরে ছবিটি মুক্তি পাবে।

ঢাকা ২০৪০: ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর পরিচালক দীপংকর দীপন এই ছবিটি পরিচালনা করছেন। এটি তার কেরিয়ারের দ্বিতীয় ছবি। ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর মতো এ ছবিতেও তিনি চমক দেখাবেন বলে মনে করছেন সবাই। নতুন এই ছবিতে চমক হিসেবে আছেন বাপ্পী চৌধুরী, নুসরাত ইমরোজ তিশা, নুসরাত ফারিয়া ও তাসকীন রহমান। পরিচালক জানান, টানা কাজ করে শুটিং শেষ করা হবে। এরপর নতুন বছরে ছবিটি মুক্তি পাবে।

অপারেশন সুন্দরবন: দীপংকর দীপনের আরেক স্বপ্নের ছবি ‘অপারেশন সুন্দরবন’। সুন্দরবনের জলদস্যু নির্মূল নিয়ে র‌্যাবের সার্বিক সহযোগিতায় নির্মিত হচ্ছে ছবিটি। এই ছবিও নতুন বছরে মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে পরিচালকের। আরও একটু নির্দিষ্ট করে বললে, ঈদুল আযহায় মুক্তি পেতে পারে ‘অপারেশন সুন্দরবন’। তারকাবহুল এই ছবিতে আছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ, সিয়াম আহমেদ, নুসরাত ফারিয়া, রোশান, তাসকিন ও মনোজ কুমার।

পাপ-পূণ্য: এ ছবিটি নির্মাণ করছেন ‘মনপুরা’ ও ‘স্বপ্নজাল’-এর পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম। পরিচালকের ভাষায় এটি লাভ থ্রিলার হবে। নতুন বছরের ভালোবাসা দিবসে মুক্তির পরিকল্পনা করে ‘পাপ-পূণ্য’ নির্মিত হচ্ছে। মফস্বল অঞ্চলের ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই সিনেমা দিয়ে অনেক বছর পর অভিনয়ে ফিরছেন আফসানা মিমি। সেখানে আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম ও ফজলুর রহমান বাবু।

শান: সিয়াম আহমেদের আরেক ছবি ‘শান’। পরিচালনায় আছেন নবীন নির্মাতা এম রহিম। এখানে সিয়ামের নায়িকা পূজা চেরি। আর আছেন তাসকিন রহমান। মুক্তির চূড়ান্ত তারিখ জানাতে না পারলেও নতুন বছরে কোনও উৎসবকে সামনে নিয়ে ছবিটি মুক্তি পাবে বলে জানান পরিচালক।

রিকশা গার্ল: ‘আয়নাবাজি’র পর নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরীর পরবর্তী সিনেমা ‘রিকশা গার্ল’। ছবিটি চলতি বছরে মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে পরিচালক জানান, নতুন বছরের মার্চে মুক্তি পাবে ‘রিকশা গার্ল’।

বিউটি সার্কাস: বেশ আয়োজন করেই শুরু হয়েছিল নাট্যনির্মাতা মাহমুদ দিদারের ‘বিউটি সার্কাস’ ছবির শুটিং। শুরুর পর অনেকদিন ধরে আটকে আছে সিনেমাটি। জয়া আহসান অভিনীত ছবিটির টিজার প্রকাশের পর দর্শকদের প্রত্যাশা বাড়ে। পরিচালক জানান, নতুন বছরের পহেলা বৈশাখে মুক্তি দেয়া হবে ছবিটি।

হাওয়া: টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনের প্রথম ছবি এটি। সমুদ্রে দুঃসাহসিক যাত্রার কাহিনি নিয়ে নির্মিত এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে আছেন চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজসহ অনেকে। নতুন বছরে ছবিটি মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন সুমন।

পরাণ: ‘পোড়ামন টু’ ও ‘দহন’-এর পর পরিচালক রায়হান রাফি নির্মাণ করছেন ত্রিভুজ প্রেমের গল্পের ছবি ‘পরাণ’। ইতোমধ্যে ছবির পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে, যা প্রশংসিত হয়েছে দর্শকদের কাছে। পরিচালক জানিয়েছেন, নতুন বছরে ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পাবে ‘পরাণ’।

ডেঞ্জার জোন: নতুন পরিচালক বেলাল সানী নির্মাণ করেছেন ছবিটি। শুটিং বেশ আগে শুরু হলেও চলতি বছরের শেষে ছবির শুটিং শেষ হয়। এখন চলছে এডিটিং। বাপ্পী চৌধুরী ও জলি জুটির এ ছবি ভৌতিক গল্পের। ছবিটি নতুন বছরে মুক্তি পাবে বলে জানান পরিচালক।

গাঙচিল ও জ্যাম: এই দুটি ছবিই পরিচালনা করছেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল। এছাড়া দুটি ছবিতেই নায়ক-নায়িকার ভূমিকায় রয়েছেন ফেরদৌস আহমেদ ও পূর্ণিমা। এর মধ্যে ‘গাঙচিল’ ছবিটি নির্মিত হচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের লেখা ‘গাঙচিল’ উপন্যাস অবলম্বনে। ফেরদৌস-পূর্ণিমা জুটির এই দুটি ছবিই নতুন বছরে মুক্তি পাবে।

এছাড়া রায়হান রাফী পরিচালিত ‘স্বপ্নবাজী’, ‘ইত্তেফাক’, সৈকত নাসিরের ‘ক্যাসিনো’ এবং তরুণ পরিচালক সাইফ চন্দনের ‘ওস্তাদ’, ‘মন্ত্র’, ‘কাপ্তান’ ও ‘কয়লা’সহ বেশ কয়েকটি ছবি আসছে নতুন বছরে। নতুন বছরে এসব ছবি মুক্তি পেলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্র্রি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন সিনে-বোদ্ধারা।