সফিকুল ইসলাম, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমী তিথিতে বিহিত পূজার মাধ্যমে মণ্ডপে মণ্ডপে আনন্দময়ী দেবী দুর্গার আরাধনা করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা, তবে বিসর্জনের ক্ষণ এগিয়ে আসায় আছে বিদায়ের সুরও।
বুধবার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের কয়েকটি পূজা মন্ডপে গিয়ে দেখা যায় ঢাকের বাদ্যির সঙ্গে মন্ত্রপাঠে আনন্দময়ীকে অঞ্জলী দিচ্ছেন ভক্তরা।
হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন দেবীদুর্গা। তার এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মাঝে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব।
মহালয়ার মধ্য দিয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর এবারের দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছিল। ওইদিন থেকেই দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতার সূচনা হয়। এরপর গত রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ষষ্ঠী থেকে পাঁচ দিনের যে দুর্গোৎসব শুরু হয়েছিল, বৃহস্পতিবার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ আয়োজন।
মাঝে সোমবার নবপত্রিকায় প্রবেশ ও স্থাপনে হয় মহাসপ্তমী। পরদিন মঙ্গলবার সকালে কুমারী পূজার পাশাপাশি মহাঅষ্টমীর বিহিত পূজা এবং সন্ধিপূজা হয়।
দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য আচার নিয়ে পূজা মন্ডপের পুরোহিতরা জানান, আরো অনেক কিছু সংযুক্তি রয়েছে, যেমন সিঁদুর খেলা, মাকে মিষ্টি দান, শোভাযাত্রা এবং প্রতিমা বিসর্জন। এগুলো বৃহস্পতিবার হবে।
মুরাদনগর পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এবছর উপজেলার মুরাদনগর থানার ও বাঙ্গরা বাজার থানার ২২ টি ইউনিয়নে মোট ১৫২টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে মুরাদনগর থানা ৮৭ টি এবং বাঙ্গরা বাজার থানায় ৬৫ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিকে, বিসর্জন উৎসবমুখর ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে মুরাদনগর উপজেলা জুড়ে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে উপজেলা প্রসাশন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়াও এবছর শারদীয় উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। প্রতিটি মণ্ডপে মণ্ডপে লাগানো হয় সিসিটিভি ক্যামেরা।