ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবীকে অবমাননার অভিযোগে পাকিস্তানে শিক্ষককে হত্যা

ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পাকিস্তানের মেয়েদের ধর্মীয় স্কুলের এক শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (৩০ মার্চ) দেশটির পুলিশ জানায়, ওই শিক্ষককে তার সহকর্মী ও দুই শিক্ষার্থী ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হত্যা করেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ডেরা ইসমাইল খান অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে। 

পুলিশ বলছে, ‘দুই শিক্ষার্থী এবং এক শিক্ষক মিলে স্কুলের প্রধান ফটকে সাফুরা বিবির ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা ছুরি ও লাঠি দিয়ে তার ওপর আক্রমণ করে।’ 

পুলিশ কর্মকর্তা সাগির আহমেদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারীর গলা কাটা যাওয়ার পর তিনি মারা যান।’  পুলিশ আরও জানায়, এই ঘটনার মূল সন্দেহভাজনকারী নিহত শিক্ষকের সহকর্মী। তিনি জামিয়া ইসলামিয়া ফালাহুল বিনাত স্কুলে অধ্যয়নরত দুই ভাগ্নির সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন। 

অভিযুক্ত দুই মেয়ে পুলিশকে জানায়, তাদের এক আত্মীয় স্বপ্নে দেখেন নিহত নারী নবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-কে অবমাননা করেছেন। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান,  মূল সন্দেহভাজনকারী উমরা আমানের নিহত সাফুরা বিবির ওপর ব্যক্তিগত কোনো ক্ষোভ ছিল কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। 

আজিম খান নামে দেশটির আরেক পুলিশ কর্মকর্তা এই ঘটনার এসব বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন। আল জাজিরা। 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

নবীকে অবমাননার অভিযোগে পাকিস্তানে শিক্ষককে হত্যা

আপডেট সময় ০২:২১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২

ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পাকিস্তানের মেয়েদের ধর্মীয় স্কুলের এক শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (৩০ মার্চ) দেশটির পুলিশ জানায়, ওই শিক্ষককে তার সহকর্মী ও দুই শিক্ষার্থী ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হত্যা করেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ডেরা ইসমাইল খান অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে। 

পুলিশ বলছে, ‘দুই শিক্ষার্থী এবং এক শিক্ষক মিলে স্কুলের প্রধান ফটকে সাফুরা বিবির ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা ছুরি ও লাঠি দিয়ে তার ওপর আক্রমণ করে।’ 

পুলিশ কর্মকর্তা সাগির আহমেদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারীর গলা কাটা যাওয়ার পর তিনি মারা যান।’  পুলিশ আরও জানায়, এই ঘটনার মূল সন্দেহভাজনকারী নিহত শিক্ষকের সহকর্মী। তিনি জামিয়া ইসলামিয়া ফালাহুল বিনাত স্কুলে অধ্যয়নরত দুই ভাগ্নির সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন। 

অভিযুক্ত দুই মেয়ে পুলিশকে জানায়, তাদের এক আত্মীয় স্বপ্নে দেখেন নিহত নারী নবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-কে অবমাননা করেছেন। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান,  মূল সন্দেহভাজনকারী উমরা আমানের নিহত সাফুরা বিবির ওপর ব্যক্তিগত কোনো ক্ষোভ ছিল কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। 

আজিম খান নামে দেশটির আরেক পুলিশ কর্মকর্তা এই ঘটনার এসব বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন। আল জাজিরা।