খেলাধুলা ডেস্কঃ
এই জয়ের ফলে ছয় ম্যাচ থেকে পাঁচ জয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেছে ভারত। প্রথমবারের মতো তৃতীয়স্থানে নামলো নিউজিল্যান্ড। দলটি প্রথম থেকে পয়েন্ট টেবিলে রাজত্ব করছিলো। সাত ম্যাচ থেকে তাদের পয়েন্টও ১১। টেবিলের শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট সাত ম্যাচে ১২।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি। প্রথমে ব্যাট করে কোহলি ও ধোনির অর্ধশতকে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২৬৮ রানের সংগ্রহ পায় ভারত।
জবাবে খেলতে নেমে দলীয় ১০ রানের মাথায় ক্রিস গেইলকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যক্তিগত ৬ রানে মোহাম্মদ সামির বলে কেদার যাদবের হাতে ক্যাচ দেন এই ব্যাটসম্যান। ১৬ রানের মাথায় সাই হোপ আউট হলে চাপে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। এরপর নিকোলাস পুরান ও সুনিল এমব্রিশ মিলে ৫৫ রানের জুটি গড়ে বিপদ কাটিয়ে উঠছিলেন ভালোভাবেই। হার্দিক পাণ্ডিয়ার বলে এমব্রিশ এলবিডব্লিউ হলে ভাঙন শুরু হয় ক্যারিবিয়ান ইনিংসে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারকা ব্যাটসম্যান ঠাঁসা দলটি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে ক্যারিবিয়ানরা।
প্রথমে ব্যাটে নেমে দলীয় ২৯ রানে ভারতের প্রথম উইকেটের পতন হয়। কেমার রোচের বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা। দলীয় ৯৮ রানে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুলকে ফেরান জেসন হোল্ডার। এরপর দলীয় ১২৬ রানে বিজয় ও ১৪০ রানে কেদার যাদবের উইকেট তুলে নেন রোচ। তবে বড় ইনিংসের পথেই হাঁটছিলেন কোহলি। ৮২ বল থেকে ৮টি চারের মারে করেছেন ৭২ রান করা কোহলিকে ফিরিয়ে ইনিংসকে আর বড় হতে দেননি হোল্ডার। এরপর ধোনি ও হার্দিক পাণ্ডিয়া ৭০ রানের জুটি গড়ে দলীয় স্কোর আড়াইশ পার করেন। শেলডন কটরেলের বলে ফ্যাবিয়ান অ্যালেনে হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ৩৮ বল থেকে ৪৬ রান করেন তিনি। কিছুটা ধীরগতিতে শুরু করলেও শেষ দিকে হাফসেঞ্চুরি করে ভারতের স্কোরকে ২৬৮ রানে নিয়ে যেতে সক্ষম হন ধোনি। শেষ পর্যন্ত ৬১ বল থেকে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকে এই উইকেটরক্ষক। কেমার রোচ তিনটি এবং শেলডন কটরেল ও জেসন হোল্ডার দুটি করে উইকেট নেন।