জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাচন বানচাল করা পূর্বপরিকল্পিত নীলনকশা। এটি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যৌথ প্রযোজনা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচন নিয়ে বর্তমান সিইসি সরকারের নির্দেশে আইনি ত্রুটি রেখে তফসিল ঘোষণা করেছেন। এটা সরকারের নীল নকশার অংশ।
আজ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ত্রুটিপূর্ণ তফসিলের কারণেই সংক্ষুব্ধরা রিট করার সুযোগ পেয়েছেন। আমরা বারবার বলে আসছি নির্বাচন নিয়ে বর্তমান সিইসি আওয়ামী লীগের মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ। কেননা ডিএনসিসিসহ ঢাকা সিটিতে যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে ক্ষমতাসীনদের ভরাডুবি হবে এটা সরকারি দল জানে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও এ বছর হওয়ার কথা। তাই ঢাকা সিটিতে বিপুল ভোটে পরাজিত হলে আওয়ামী লীগের জাতকুল কিছুই থাকবে না।’
রিজভী বলেন, ‘গত ৯ জানুয়ারি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এখন যিনি প্রার্থী হবেন তিনি জানেন না তিনি ভোটার কিনা। তাছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩শ’ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে এটা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৫ (৩) উপধারা অনুযায়ী মেয়রের পদসহ করপোরেশনের শতকরা ৭৫ ভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হলে করপোরেশন এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে যথাযথ গঠিত হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ তিনি বলেন, ‘ওই আইন মতে উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ড মিলে কাউন্সিলর শতকরা ৭৪ ভাগ হয় না। কারণ নতুন ১৮টিতে তো নির্বাচনই হয়নি। তাছাড়া সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে যারা কাউন্সিলর হবেন তারা কতদিনের জন্য নির্বাচিত হবেন। তারা কি পাঁচ বছরের জন্য হবেন, না আড়াই বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন তা নির্ধারণ করেনি কমিশন। এ সকল ত্রুটির কারণেই রিট করার সুযোগ পেয়েছেন সংক্ষুদ্ধরা।’