জাতীয় ডেস্কঃ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচনে ভোট স্থগিতে সরকারের যোগসাজস প্রশ্নে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী বিরক্তি প্রকাশ করেন। ঢাকার দুই সিটিতে ৩৬টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে দল সমর্থিত প্রার্থীর নাম জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

সম্মেলনে ডিএনসিসি উপনির্বাচনে ভোট স্থগিতে সরকারের কোনো যোগসাজশ আছে কি না- এমন প্রশ্নে বিরক্তি প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যোগসাজশ কথাটি ভালো না। আওয়ামী লীগ নোংরা রাজনীতি করে না।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সব কিছুতে সরকারের যোগসাজশ আবিষ্কার করেন কেন? আমরা তো আমাদের কাউন্সিলর প্রার্থীও চূড়ান্ত করেছি, যা অন্য কোনো দল করতে পারে নাই। যেহেতু আদালত স্থগিত করেছে তখন কিছু বলতে পারি না।’

তবে যে কারণে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছিল, সেই ৩৬ কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেননি ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট এ নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে। হাইকোর্টের এ সিদ্ধান্ত যতক্ষণ বহাল থাকবে এ সময়ের মধ্যে কাউন্সিলরের তালিকা প্রকাশ করলে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করা হবে। তাই আমরা কাউন্সিলরদের নাম এ মুহূর্তে ঘোষণা করতে পারছি না।’

‘যতক্ষণ হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত বহাল আছে আমাদের এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে, এরবাহিরে কিছু করলে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য হবে।’

‘যদি হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়, তখন আমাদের প্রস্তুতকৃত তালিকা আমরা প্রকাশ করব।’

জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে উপনির্বাচন বাস্তবসম্মত হবে কি না- এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। তারাই জানে। আদালতের নির্দেশে যেখানে স্থগিত হয়েছে সেখানে এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের এপ্রিলে ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচনের পর ১৮টি করে ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে দুটি এলাকাতেই। মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে ফাঁকা হওয়া উত্তরের মেয়র পদ পূরণে ভোটের সঙ্গে এসব ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোটও নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এরই মধ্যে ঢাকা উত্তরে যুক্ত হওয়া দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের রিট আবেদনে তিন মাসের জন্য স্থগিত হয়ে গেছে নির্বাচন।