ঢাকা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিবেশ বাঁচাতে গিয়ে নিহত ১৬৪

অন্তর্জাতিক:

পরিবেশ বাঁচাতে গিয়ে ২০১৮ সালে বিশ্বে ১৬০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, গ্লোবাল উইটনেস নামের একটি এনজিও এই তথ্য জানিয়েছে। তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ফিলিপাইন, যেখানে ৩০ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। গুয়েতামালাতেও এধরনের মৃত্যু বেড়েছে। খবর ডয়চে ভেলের।

কৃষি, কাঠ এবং খনি খাতে গত বছর সহিংসতায় অন্তত ১৬৪ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন বলে গ্লোবাল উইটনেসের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে। মঙ্গলবার এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে এনজিওটি।

 

আমাদের নিত্যদিনের চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি এবং অন্যান্য কাঁচামালের জোগান নিশ্চিত করতে গিয়ে সৃষ্ট জটিলতাকে অনেক পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট নিপীড়নের শিকার হওয়ার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে গ্লোবাল উইটনেস। গবেষণা প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে বিবাদ সৃষ্টি করতে পারে এমন প্রকল্পে অর্থায়নের মাধ্যমে উন্নয়ন ব্যাংকের মতো বিনিয়োগকারীরাও সংঘাতে ঘি ঢেলেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘ভূমি অধিগ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত বিদেশি বহুজাতিকদের শুধুমাত্র অজ্ঞতার দোহাই দিলে হবে না। যেসব জমি অধিগ্রহণের ফলে তারা লাভবান হচ্ছে সেসব জমি যাতে বৈধভাবে অধিগ্রহণ করা হয় তা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব। সেসব জমিতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বসবাসরত মানুষদের অনুমতি নিয়ে সেটা করতে হবে।’

গতবছর যেসব দেশে পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট নিহত হয়েছেন তার মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ফিলিপাইন। দেশটিতে ২০১৮ সালে অন্তত ৩০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, গুয়েতেমালায় আগের বছরের তুলনায় এধরনের মৃত্যুর হার বেড়েছে চার শতাংশ। ভারতেও এমন মৃত্যু বাড়ছে।

জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক বিশেষ দূত ভিকি টউলি-করপুজ এ বিষয়ে বলেন, ‘এমন সংঘাত এক মানবাধিকার সংকট। আর এটা যারা স্থির পরিবেশের উপর নির্ভরশীল তাদের প্রত্যেকের উপরই এক হুমকি।’

গবেষণায় অবশ্য আগের বছরের তুলনায় পরিবেশকেন্দ্রিক সহিংসতায় প্রাণহানি কম হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্লোবাল উইটনেস মনে করে, অনেক প্রাণহানির ঘটনা এখন গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে না বলেই সংখ্যাটি কমেছে মনে হচ্ছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

পরিবেশ বাঁচাতে গিয়ে নিহত ১৬৪

আপডেট সময় ০৩:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৯
অন্তর্জাতিক:

পরিবেশ বাঁচাতে গিয়ে ২০১৮ সালে বিশ্বে ১৬০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, গ্লোবাল উইটনেস নামের একটি এনজিও এই তথ্য জানিয়েছে। তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ফিলিপাইন, যেখানে ৩০ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। গুয়েতামালাতেও এধরনের মৃত্যু বেড়েছে। খবর ডয়চে ভেলের।

কৃষি, কাঠ এবং খনি খাতে গত বছর সহিংসতায় অন্তত ১৬৪ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন বলে গ্লোবাল উইটনেসের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে। মঙ্গলবার এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে এনজিওটি।

 

আমাদের নিত্যদিনের চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি এবং অন্যান্য কাঁচামালের জোগান নিশ্চিত করতে গিয়ে সৃষ্ট জটিলতাকে অনেক পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট নিপীড়নের শিকার হওয়ার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে গ্লোবাল উইটনেস। গবেষণা প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে বিবাদ সৃষ্টি করতে পারে এমন প্রকল্পে অর্থায়নের মাধ্যমে উন্নয়ন ব্যাংকের মতো বিনিয়োগকারীরাও সংঘাতে ঘি ঢেলেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘ভূমি অধিগ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত বিদেশি বহুজাতিকদের শুধুমাত্র অজ্ঞতার দোহাই দিলে হবে না। যেসব জমি অধিগ্রহণের ফলে তারা লাভবান হচ্ছে সেসব জমি যাতে বৈধভাবে অধিগ্রহণ করা হয় তা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব। সেসব জমিতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বসবাসরত মানুষদের অনুমতি নিয়ে সেটা করতে হবে।’

গতবছর যেসব দেশে পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট নিহত হয়েছেন তার মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ফিলিপাইন। দেশটিতে ২০১৮ সালে অন্তত ৩০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, গুয়েতেমালায় আগের বছরের তুলনায় এধরনের মৃত্যুর হার বেড়েছে চার শতাংশ। ভারতেও এমন মৃত্যু বাড়ছে।

জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক বিশেষ দূত ভিকি টউলি-করপুজ এ বিষয়ে বলেন, ‘এমন সংঘাত এক মানবাধিকার সংকট। আর এটা যারা স্থির পরিবেশের উপর নির্ভরশীল তাদের প্রত্যেকের উপরই এক হুমকি।’

গবেষণায় অবশ্য আগের বছরের তুলনায় পরিবেশকেন্দ্রিক সহিংসতায় প্রাণহানি কম হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্লোবাল উইটনেস মনে করে, অনেক প্রাণহানির ঘটনা এখন গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে না বলেই সংখ্যাটি কমেছে মনে হচ্ছে।