অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
সারদা কেলেঙ্কারিতে রাজ্য পুলিশ কমিশনার রাজিব কুমারকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই’র জিজ্ঞাসাবাদকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। সিবিআই কর্মকর্তাকে আটক করে থানায়ও নিয়ে যায় রাজ্য পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাত থেকে ধর্না দিয়েছেন।
এরপরই পরই ঘোষণা করেন, মোদী সরকারের হাত থেকে দেশের সংবিধানকে ‘বাঁচাতে’ তিনি অবিলম্বে নিজে ধর্নায় বসবেন। এই ধর্নাকে তিনি ‘সত্যাগ্রহ’ বলে অভিহিত করেছেন। রাজীব কুমারকে ‘বিশ্বের সেরা পুলিশ অফিসারদের অন্যতম’ বলেও বর্ণনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাত থেকেই ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে মমতার ধর্না শুরু হয়। সেখানে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন রাজীব কুমার-সহ পদস্থ পুলিশকর্তারাও। আপাতত মুখ্যমন্ত্রী যে এটা চালিয়ে যাবেন, তার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, আজ সোমবার বিধানসভায় বাজেট পেশের আগে প্রথামাফিক মন্ত্রিসভার বৈঠকটি হবে ধর্না মঞ্চের পাশে অস্থায়ী ছাউনিতে।
বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে এমন প্রতিবাদী আন্দোলন মমতা করেছেন। সর্বশেষ সিঙ্গুর আন্দোলনের সময়ে এই মেট্রো চ্যানেলেই ২৬ দিন অনশন করেছিলেন তিনি। এখন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে পথে বসে মমতা সেই পথেই হাঁটছেন।
মমতা জানিয়েছেন, কেন্দ্র এখানে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করলেও পরোয়া নেই। তিনি ‘দেখে নেবেন।’
খবর পেয়েই শীর্ষস্থানীয় বিরোধী নেতারা মমতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেন। ফোন করেন বিরোধী দল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, আহমেদ পটেল, অখিলেশ যাদব, মায়াবতীরা। মমতার সমর্থনে টুইট করেন চন্দ্রবাবু নায়ডু, দিল্লীর মূখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রমুখ। বার্তা পাঠান প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও।
মমতা বলেন, ‘সবাই বলছেন তাঁরা সঙ্গে আছেন।’ সোমবার এই ধর্নায় যোগ দিতে পারেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। আসতে পারেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।
সারদা তদন্তের ব্যাপারে রাজীব কুমারকে কিছু দিন ধরেই তলব করছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের অভিযোগ, রাজীব কুমার সারদা সংক্রান্ত বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) শীর্ষে ছিলেন, কিন্তু বেশ কিছু নথি তিনি সিবিআইকে দেননি বা ‘নষ্ট’ করেছেন। তাকে বারবার নোটিস দিয়ে ডাকলেও রাজীব কুমার সিবিআইতে যাননি বা তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ। সূত্র: আনন্দবাজার।