ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে চলন্ত ট্রেনে ভয়াবহ আগুন, নিহত ৭৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানে একটি চলন্ত ট্রেনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৭৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেক। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডনের।

দেশটির দ্রুতগতির এই ট্রেন করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডি যাচ্ছিল। পাঞ্জাব প্রদেশের রহিম ইয়ার খান নামক স্থানে পৌঁছলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে আসার পর ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন ধরে যায়।

পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রাশিদ বলেন, এই ট্রেনে তাবলিগ জামাতের একটি দল ছিল, যারা লাহোরে একটি জমায়েতে যোগ দিতে যাচ্ছিল। ট্রেনে থাকা কেরোসিন সিলিন্ডার এবং স্টোভ বিস্ফোরণ থেকে এ আগুনের সূত্রপাত।

সকালের নাস্তা তৈরির সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং তিনটি বগিতে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়নি। এই ঘটনার পর পাকিস্তানের ১৩৪টি ট্রেন চলাচল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।

রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ার কারণে। তবে ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ার কারণে অনেকের জীবন রক্ষা পেয়েছে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।

পাকিস্তানে দীর্ঘ রেলযাত্রার সময় যাত্রীদের অনেকেই খাবার তৈরির জন্য গোপনে ট্রেনের ভেতরে গ্যাস সিলিন্ডার যুক্ত চুলা নিয়ে উঠে।

এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শোক প্রকাশ করেছেন। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ট্রেন এবং যাত্রীদের বীমা করা ছিল। ফলে তারা ক্ষতিপূরণ পাবেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

পাকিস্তানে চলন্ত ট্রেনে ভয়াবহ আগুন, নিহত ৭৩

আপডেট সময় ১১:৫৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানে একটি চলন্ত ট্রেনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৭৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেক। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডনের।

দেশটির দ্রুতগতির এই ট্রেন করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডি যাচ্ছিল। পাঞ্জাব প্রদেশের রহিম ইয়ার খান নামক স্থানে পৌঁছলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে আসার পর ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন ধরে যায়।

পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রাশিদ বলেন, এই ট্রেনে তাবলিগ জামাতের একটি দল ছিল, যারা লাহোরে একটি জমায়েতে যোগ দিতে যাচ্ছিল। ট্রেনে থাকা কেরোসিন সিলিন্ডার এবং স্টোভ বিস্ফোরণ থেকে এ আগুনের সূত্রপাত।

সকালের নাস্তা তৈরির সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং তিনটি বগিতে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়নি। এই ঘটনার পর পাকিস্তানের ১৩৪টি ট্রেন চলাচল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।

রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ার কারণে। তবে ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ার কারণে অনেকের জীবন রক্ষা পেয়েছে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।

পাকিস্তানে দীর্ঘ রেলযাত্রার সময় যাত্রীদের অনেকেই খাবার তৈরির জন্য গোপনে ট্রেনের ভেতরে গ্যাস সিলিন্ডার যুক্ত চুলা নিয়ে উঠে।

এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শোক প্রকাশ করেছেন। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ট্রেন এবং যাত্রীদের বীমা করা ছিল। ফলে তারা ক্ষতিপূরণ পাবেন।