অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে বাস থেকে নামিয়ে কমপক্ষে ১৪ যাত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। করাচি থেকে গুয়াদার যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। খবর আল-জাজিরার।
প্রাদেশিক পররাষ্ট্র সচিব হায়দার আলী এএফপিকে জানিয়েছেন, বন্দুকধারীরা আধা সামরিক পোষাক পরিহিত ছিল। তারা যাত্রীদেরকে জোরপূর্বক বাস থেকে নামানোর পর গুলি করে। বাসের যাত্রীরা করাচির দক্ষিণ সিটি থেকে একটি হাইওয়ে বাসে করে গাওদার শহরে যাচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের গাড়িতে মুখোশধারী বন্দুকধারীরা হঠাৎ এই আক্রমণ করে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়েছে। স্থানীয় জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল একেবারেই প্রত্যন্ত অঞ্চলে। ওরামারা শহর থেকে ৬০ মিলোমিটার ও গাওদার থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এটি।
সেখানে ১৫/২০ জন মুখোশধারী ব্যক্তি শুরুতে পাঁচ-ছয়টি বাস থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয়পত্র তল্লাশি করে। এর মধ্যে তারা ১৬ জনকে নামিয়ে নিয়ে যায়। তাদের গুলিতে ১৪ জন নিহত হয়। অন্য দুজন আহত অবস্থায় পালিয়ে গিয়ে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে খবর দেয়। নিহতদের মধ্যে একজন নৌবাহিনী ও একজন কোস্টগার্ড সদস্য বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার পর আইনশৃঙ্ক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে তদন্ত করছে।
ইমেইলে এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে বেলুচিস্তানের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি গোষ্ঠী। বেলুচ রাজি আজই সাঙ্গার নামে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, যাদেরকে টার্গেট করা হয়েছিল তাদের পরিচয়পত্র দেখে পাকিস্তান নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্য হিসেবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরই তাদের হত্যা করা হয়েছে।