ঢাকা ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘পারস্য উপসাগর পুরোপুরি ইরানের নিয়ন্ত্রণে’

অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

পারস্য উপসাগর থেকে এবার মার্কিন সেনারা চলে যাক। তাদেরই দখলে ‘পার্সিয়ান গাল্ফ’, তাই সেনা নজরদারি তুলে নিক যুক্তরাষ্ট্র। খুব কূটনৈতিক পদ্ধতিতেই যুক্তরাষ্ট্রকে এই বার্তা দিল তেহরান।

তাদের দাবি, তেল বাণিজ্যের মূল উপসাগরীয় কেন্দ্র হরমুজ পুরোপুরি ইরানের নিয়ন্ত্রণে। একা তেহরানই তেল বাণিজ্যকে আন্তর্জাতিক খাতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ নিষ্প্রোয়জন।

ইরান রেভ্যুলিউশানারি গার্ড জেনারেল অ্যালির্জা তাংসিরির দাবি, হরমুজ প্রণালী থেকে তেল রপ্তানির নিয়ন্ত্রণ তেহরানের হাতেই। যুক্তরাষ্ট্র হরমুজ থেকে দূরে থাকলেই গোটা বিষয়টি নিয়ম মাফিক হবে। কারণ পারস্য উপসাগর পুরোপুরি ইরানের দখলে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারির কাজ বন্ধ হোক।

যুক্তরাষ্ট্রের চোখে চোখ রেখে ইরানের তেল বাণিজ্য জারি রাখাটা সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, ২০১৫ সাল থেকে চলা পরমাণু উৎক্ষেপণ বিতর্কে ইরানের উপর ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনের দাবি, বার বার নিষেধাজ্ঞা না মেনেই পরমাণু উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। তাই চলতি বছরেই তেল বাণিজ্যে ইরানকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।

ক্ষমতার লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা ট্রাম্পের নির্দেশ ইতিমধ্যেই বেশ কয়কটি দেশ মেনে নিয়েছে। যার ফলে বেশ বিপাকে ইরান। তবে, ইরানের দখলেও যে হরমুজ ,তা জানান দিতেই নতুন করে পারস্য উপসাগরের দখলদারি নিয়ে গর্জে উঠল ইরান।

হরমুজ প্রণালী আন্তর্জাতিক তেল বাণিজ্যের মূল কেন্দ্রবিন্দু। কারণ, ইরান অধিকৃত হরমুজের উপর দিয়েই আরব আমিরাতের অধিকাংশ তেল রপ্তানি হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, হরমুজ ব্লক করে পরিস্থিতি জটিল করতে পারে ইরান। সেই কারণে, পারস্য উপসাগরে মার্কিন সেনার নজরদারি দীর্ঘ দিনের। এবার সেই আশঙ্কাকেই বাড়িয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিুচ্ছে তেহরান। ইরান সেনা সূত্রের দাবি, ফিরে যাক মার্কিন সেনা, হরমুজ নিয়ন্ত্রণে ইরান একাই যথেষ্ট।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তেল বাণিজ্যে ইরানকে শূন্যে আনতে চাইছে। সেই কারণে আন্তর্জাতিক তেল বাণিজ্যে ইরানকে ব্লক করার সিদ্ধান্ত আমেরিকার। অবশ্য,আমেরিকাকে পাল্টা হুমকি দিয়ে ইরান জানায়, যদি আন্তর্জাতিক তেল বাণিজ্যে ইরানকে নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে হরমুজ প্রণালী দিয়ে অন্য দেশেরও তেল রপ্তানি হবে না।

জট কাটাতে মার্কিন সেনার হরমুজ সহ পারস্য উপসাগরে নজরদারি জারি থাকে। যা যুক্তরাষ্ট্রের অনধিকার প্রবেশ বলে মনে করে ইরান। তাই আরও একবার আমেরিকাকে বিপাকে ফেলতে পারস্য উপসাগর থেকে মার্কিন সেনা উৎখাতে তৎপর তেহেরান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

‘পারস্য উপসাগর পুরোপুরি ইরানের নিয়ন্ত্রণে’

আপডেট সময় ০৩:০০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৮
অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

পারস্য উপসাগর থেকে এবার মার্কিন সেনারা চলে যাক। তাদেরই দখলে ‘পার্সিয়ান গাল্ফ’, তাই সেনা নজরদারি তুলে নিক যুক্তরাষ্ট্র। খুব কূটনৈতিক পদ্ধতিতেই যুক্তরাষ্ট্রকে এই বার্তা দিল তেহরান।

তাদের দাবি, তেল বাণিজ্যের মূল উপসাগরীয় কেন্দ্র হরমুজ পুরোপুরি ইরানের নিয়ন্ত্রণে। একা তেহরানই তেল বাণিজ্যকে আন্তর্জাতিক খাতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ নিষ্প্রোয়জন।

ইরান রেভ্যুলিউশানারি গার্ড জেনারেল অ্যালির্জা তাংসিরির দাবি, হরমুজ প্রণালী থেকে তেল রপ্তানির নিয়ন্ত্রণ তেহরানের হাতেই। যুক্তরাষ্ট্র হরমুজ থেকে দূরে থাকলেই গোটা বিষয়টি নিয়ম মাফিক হবে। কারণ পারস্য উপসাগর পুরোপুরি ইরানের দখলে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারির কাজ বন্ধ হোক।

যুক্তরাষ্ট্রের চোখে চোখ রেখে ইরানের তেল বাণিজ্য জারি রাখাটা সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, ২০১৫ সাল থেকে চলা পরমাণু উৎক্ষেপণ বিতর্কে ইরানের উপর ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনের দাবি, বার বার নিষেধাজ্ঞা না মেনেই পরমাণু উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। তাই চলতি বছরেই তেল বাণিজ্যে ইরানকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।

ক্ষমতার লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা ট্রাম্পের নির্দেশ ইতিমধ্যেই বেশ কয়কটি দেশ মেনে নিয়েছে। যার ফলে বেশ বিপাকে ইরান। তবে, ইরানের দখলেও যে হরমুজ ,তা জানান দিতেই নতুন করে পারস্য উপসাগরের দখলদারি নিয়ে গর্জে উঠল ইরান।

হরমুজ প্রণালী আন্তর্জাতিক তেল বাণিজ্যের মূল কেন্দ্রবিন্দু। কারণ, ইরান অধিকৃত হরমুজের উপর দিয়েই আরব আমিরাতের অধিকাংশ তেল রপ্তানি হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, হরমুজ ব্লক করে পরিস্থিতি জটিল করতে পারে ইরান। সেই কারণে, পারস্য উপসাগরে মার্কিন সেনার নজরদারি দীর্ঘ দিনের। এবার সেই আশঙ্কাকেই বাড়িয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিুচ্ছে তেহরান। ইরান সেনা সূত্রের দাবি, ফিরে যাক মার্কিন সেনা, হরমুজ নিয়ন্ত্রণে ইরান একাই যথেষ্ট।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তেল বাণিজ্যে ইরানকে শূন্যে আনতে চাইছে। সেই কারণে আন্তর্জাতিক তেল বাণিজ্যে ইরানকে ব্লক করার সিদ্ধান্ত আমেরিকার। অবশ্য,আমেরিকাকে পাল্টা হুমকি দিয়ে ইরান জানায়, যদি আন্তর্জাতিক তেল বাণিজ্যে ইরানকে নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে হরমুজ প্রণালী দিয়ে অন্য দেশেরও তেল রপ্তানি হবে না।

জট কাটাতে মার্কিন সেনার হরমুজ সহ পারস্য উপসাগরে নজরদারি জারি থাকে। যা যুক্তরাষ্ট্রের অনধিকার প্রবেশ বলে মনে করে ইরান। তাই আরও একবার আমেরিকাকে বিপাকে ফেলতে পারস্য উপসাগর থেকে মার্কিন সেনা উৎখাতে তৎপর তেহেরান।