জাতীয় ডেস্কঃ
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরই একপর্যায়ে মোটরসাইকেলসহ বেশ কিছু যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করা হয়। এই সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে আজ দুপুরে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পেছনে থাকা বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করেছে এবং এগুলোতে আগুন দিয়েছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এরপর বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকও রয়েছেন। হাইকোর্ট-সংলগ্ন কদম ফোয়ারা এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
এই ব্যাপারে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, খালেদা জিয়ার ফেরার সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। এর মধ্যে পুলিশের গাড়িও রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক কর হয়েছে। এঁদের মধ্যে আমিনুল হক রয়েছেন কি না, সেটি জানা নেই। থানায় আনার পর পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বঙ্গবাজার ও পার্শ্ববর্তী সচিবালয় এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল করেন। এ সময় মিছিলকারীদের পুলিশ বাধা দেয়। এই সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশি ধাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। বঙ্গবাজার মোড়ে একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ মিছিলকারীদের ওপর লাঠিপেটা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়। এঁদের মধ্যে আমিনুল হককে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।
বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বকশী বাজারে নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে হাইকোর্ট-সংলগ্ন কদম ফোয়ারার কাছ থেকে আমিনুল হকসহ ১৫-২০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর এঁদের সবাইকে প্রিজন ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের দাবি, আদালতে হাজিরা দিয়ে খালেদা জিয়া ফেরার সময় গাড়ি ভাঙচুর করেছেন বিএনপির কর্মীরা। এ সময় সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।