ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রথম কৃত্রিম উপায়ে মানব ডিম্বাণু

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ
এডিনবরা ও নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এই গবেষণার শুরু হয়েছিল ইঁদুর নিয়ে। গত বছর মার্চে যুক্তরাজ্যে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে এই ভ্রূণটি তৈরি করেছেন। এরপর তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, খুব শীঘ্রই কৃত্রিম উপায়ে মানুষের জন্ম দেওয়া সম্ভব হবে।
সেই আশাবাদের ক্ষেত্রেই একধাপ অগ্রসর হলেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রথম গবেষণাগারে কৃত্রিম উপায়ে মানব ডিম্বাণু তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা। তবে সবটা এখনও পরীক্ষানিরীক্ষার পর্যায়েই রয়েছে, জানান তাঁরা। ‘মলিকিউলার হিউম্যান রিপ্রোডাকশন’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি। অল্প বয়সে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ায়, রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি নেওয়ার ফলে যাদের গর্ভপাতের আশঙ্কা বেড়ে গিয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি উপযোগী হতে পারে, দাবি গবেষকদের।
‘তবে আশঙ্কা থাকছেই! ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলো পরের প্রজন্মে চলে যাবে না তো,’ বলছেন এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী এভলিন টেলফারের দাবি, ‘যখন ডিম্বাণু নিষ্কাষণ হচ্ছে, তখন তাতে ক্ষতিকর কিছু না থাকার কথা।’
বিশ থেকে তিরিশের কোঠায় রয়েছেন, এমন ১০ জন মহিলার ডিম্বাশয় থেকে কোষ সংগ্রহ করা হয়। চার ভাগে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সেই কোষকে ডিম্বাণুতে পরিণত করা হয়। ৪৮টি ডিম্বাণু সফলভাবে পরীক্ষার শেষ ভাগে পৌঁছায়। পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় যায় ৯টি ডিম্বাণু। এভলিন অবশ্য জানান, চিকিৎসাক্ষেত্রে ছাড়পত্র পেতে আরও বহু পথ পেরনো বাকি।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

প্রথম কৃত্রিম উপায়ে মানব ডিম্বাণু

আপডেট সময় ০১:২৯:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ
এডিনবরা ও নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এই গবেষণার শুরু হয়েছিল ইঁদুর নিয়ে। গত বছর মার্চে যুক্তরাজ্যে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে এই ভ্রূণটি তৈরি করেছেন। এরপর তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, খুব শীঘ্রই কৃত্রিম উপায়ে মানুষের জন্ম দেওয়া সম্ভব হবে।
সেই আশাবাদের ক্ষেত্রেই একধাপ অগ্রসর হলেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রথম গবেষণাগারে কৃত্রিম উপায়ে মানব ডিম্বাণু তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা। তবে সবটা এখনও পরীক্ষানিরীক্ষার পর্যায়েই রয়েছে, জানান তাঁরা। ‘মলিকিউলার হিউম্যান রিপ্রোডাকশন’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি। অল্প বয়সে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ায়, রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি নেওয়ার ফলে যাদের গর্ভপাতের আশঙ্কা বেড়ে গিয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি উপযোগী হতে পারে, দাবি গবেষকদের।
‘তবে আশঙ্কা থাকছেই! ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলো পরের প্রজন্মে চলে যাবে না তো,’ বলছেন এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী এভলিন টেলফারের দাবি, ‘যখন ডিম্বাণু নিষ্কাষণ হচ্ছে, তখন তাতে ক্ষতিকর কিছু না থাকার কথা।’
বিশ থেকে তিরিশের কোঠায় রয়েছেন, এমন ১০ জন মহিলার ডিম্বাশয় থেকে কোষ সংগ্রহ করা হয়। চার ভাগে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সেই কোষকে ডিম্বাণুতে পরিণত করা হয়। ৪৮টি ডিম্বাণু সফলভাবে পরীক্ষার শেষ ভাগে পৌঁছায়। পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় যায় ৯টি ডিম্বাণু। এভলিন অবশ্য জানান, চিকিৎসাক্ষেত্রে ছাড়পত্র পেতে আরও বহু পথ পেরনো বাকি।