বিনোদন :
ভারতের বাইরে থেকে এসে যারা বলিউডে দাপিয়ে কাজ করছেন, তাদের মধ্যে নোরা ফাতেহি অন্যতম। তার নাচের ছন্দে মুগ্ধ বলিউড। অথচ নোরা কোনোদিন নাচের প্রথাগত প্রশিক্ষণই নেননি। তার সবটাই শেখা ইউটিউব থেকে। খবর আনন্দবাজারের।
নোরার বাবা মা আদতে মরক্কোর মানুষ। তবে তারা দীর্ঘদিন কানাডায় বাস করছেন। সে দেশের কুইবেক প্রদেশে নোরার জন্ম ১৯৯২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। তার মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ফলে ভারতীয়-আরবি-কানাডিয়ান সংস্কৃতির মিশেলে নোরা এবং তাঁর ভাই ওমরের বড় হয়ে ওঠা।
কানাডার কুইবেক ফরাসিপ্রধান অঞ্চল। ফলে ইংরেজি, আরবি এবং হিন্দির পাশাপাশি ফরাসি ভাষাতেও অনায়াসে কথা বলতে পারেন নোরা। এখনও পর্যন্ত হিন্দি ছবিতে নোরাকে মূলত বিশেষ চরিত্রে দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন রকমের নাচে পারদর্শিতাই তার সাফল্যের তুরুপের তাস। প্রথম ছবি ‘রোরস: টাইগার্স অব দ্য সুন্দরবনস’ মুক্তি পায় ২০১৪ সালে।
আইটেম গানে এরই মধ্যে বাজিমাত করেছেন নোরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’, ‘কিক টু’, ‘শের’, ‘লোফার’, ‘সত্যমেব জয়তে’, ‘স্ত্রী’, ‘ভারত’, ‘বাটলা হাউজ’ এবং সদ্য মুক্তি পাওয়া স্ট্রিট ড্যান্সার।
নোরার জীবনে নাচই প্রধান নেশা। যে কোনও ধরনের নাচ দেখে তার স্টেপ আয়ত্ত করাই তার লক্ষ্য। যতই কঠিন হোক না কেন, নোরার অধ্যবসায় হার মানে না। হিপ হপ, অ্যাফ্রো এবং বেলি ডান্স তার কাছে কঠিন বলে মনে হত। কিন্তু বারবার অনুশীলনে এখন নাচের এই ঘরানাগুলিতেও তিনি সমান দক্ষ।
হিন্দির পাশাপাশি নোরা সমান স্বচ্ছন্দ দক্ষিণী ছবিতেও। কাজ করেছেন তেলুগু, মালয়ালম এবং তামিল ছবিতে। তবে শুধু বড় পর্দাই নয়। ছোট পর্দা এবং মিউজিক ভিডিয়োতেও নোরা সমান জনপ্রিয়। ‘বিগ বস ৯’-সহ অন্যান্য রিয়্যালিটি শো-এ তাঁর পারফরম্যান্স নজরকাড়া।
কেবল নৃত্যশিল্পীই নন। নোরা মার্শাল আর্টেও প্রশিক্ষিত। কঠোর পরিশ্রমী বলে ইন্ডাস্ট্রিতে সুনাম আছে নোরার। ‘বাটলা হাউজ’ শুটিংয়ের সময় নোরা গুরুতর আহত হন। কিন্তু আহত অবস্থাতেও তিনি শুটিং বন্ধ করেননি।
নোরাকে গুঞ্জন হতে দেরি হয়নি। শোনা গিয়েছিল ‘বিগ বস-৯’-এর আর এক প্রতিযোগী প্রিন্স নারুলার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন অভিনেতা অঙ্গদ বেদীর সঙ্গেও অন্তরঙ্গ ছিলেন নোরা। কিন্তু কোনও সম্পর্কই বেশিদিন স্থায়ী হয়নি তার জীবনে।