ঢাকা ১১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে আমরা আনন্দিত’

জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বিএনপিকে আহ্বান জানিয়েছেন। খুব আনন্দের কথা। আমরা কিছুটা আনন্দিত হয়েছি এ জন্য, তাহলে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বিএনপি ছাড়া নির্বাচন হবে না।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক নেতাকর্মীরা ওই ইফতারের আয়োজন করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার মুখ থেকে আমাদেরকে অংশগ্রহণ করার কথা বলা এটা আগে কখনো শুনিনি। এবার শুনলাম।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন,প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,বিএনপি যেন ভুল না করে নির্বাচনে যায়। আমরা তো নির্বাচনে যেতে চেয়েছি। আপনারা চাতুরী করে, প্রতারণা করে, জনগণকে বিভ্রান্ত করে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী করলেন। অর্থাৎ কেয়ার টেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়ে আবার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আনলেন। তখন আমরা যে আন্দোলন করেছি, সেই আন্দোলনে আমরা একা ছিলাম না, দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল ছিলো, দেশের মানুষ ছিলো এবং সেই কারণে সেদিন জাতীয় পার্টির একটা অংশ ছাড়া আপনারা কাউকে আপনাদের সঙ্গে পাননি। বর্তমান ‘একই অবস্থা বিরাজ’ করছে।  আমরা এখনো দেখতে পারছি, এই সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা করতে চাচ্ছেন, একতরফা নির্বাচনই করতে চাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, এবার একতরফা নির্বাচন হবে না। অবশ্যই নির্বাচনের সময়ে আপনাকে এমন একটা সরকার নিয়ে আসতে হবে, যে সরকার নিরপেক্ষভাবে একটা নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করবে। সেজন্য আমরা সহায়ক সরকারের কথা বলেছি। আমরা বলেছি যে, নির্বাচনকালীন সময়ে একটা নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে।দলীয় সরকার থাকলে কখনোই সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।কিছুদিন পরে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন। আমরা বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগের যদি শুভ বুদ্ধির উদয় হয়ে থাকে, তাহলে সেটা মেনে নিয়ে সত্যিকার অর্থে একটা ইনক্লুসিভ ইলেকশন, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য, সকলের অংশ গ্রহণে একটা নির্বাচন করবেন, দেশকে এই রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্ত করতে।
তিনি আরো বলেন,আজকে কয়েকবছরে বিরোধী দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছেন। ৫ শতের উপরে আমাদের নেতা-কর্মীকে গুম করে দিয়েছেন, হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করেছেন।আজকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী নেতাদের রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার
চেষ্টা করছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ এমন কোনো নেতা-কর্মী
নেই, যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের লোকের ভয় পেয়ে গেছে নির্বাচন যদি হয় তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তারা সকল জরিপে দেখেছে যে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ৩০টা থেকে ৪০টার বেশি আসন পাবে না। সেই কারণে আমরা বলছি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে এবং সকলের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
ইফতার অনুষ্ঠানে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মো. মোকাম্মেল কবীরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র দল নেতাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান তপন, শাহিন শওকত, মতিউর রহমান মন্টু, আমিনুল ইসলাম, রমেশ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ইত্তেফাক
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

‘প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে আমরা আনন্দিত’

আপডেট সময় ০২:০০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বিএনপিকে আহ্বান জানিয়েছেন। খুব আনন্দের কথা। আমরা কিছুটা আনন্দিত হয়েছি এ জন্য, তাহলে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বিএনপি ছাড়া নির্বাচন হবে না।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক নেতাকর্মীরা ওই ইফতারের আয়োজন করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার মুখ থেকে আমাদেরকে অংশগ্রহণ করার কথা বলা এটা আগে কখনো শুনিনি। এবার শুনলাম।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন,প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,বিএনপি যেন ভুল না করে নির্বাচনে যায়। আমরা তো নির্বাচনে যেতে চেয়েছি। আপনারা চাতুরী করে, প্রতারণা করে, জনগণকে বিভ্রান্ত করে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী করলেন। অর্থাৎ কেয়ার টেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়ে আবার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আনলেন। তখন আমরা যে আন্দোলন করেছি, সেই আন্দোলনে আমরা একা ছিলাম না, দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল ছিলো, দেশের মানুষ ছিলো এবং সেই কারণে সেদিন জাতীয় পার্টির একটা অংশ ছাড়া আপনারা কাউকে আপনাদের সঙ্গে পাননি। বর্তমান ‘একই অবস্থা বিরাজ’ করছে।  আমরা এখনো দেখতে পারছি, এই সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা করতে চাচ্ছেন, একতরফা নির্বাচনই করতে চাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, এবার একতরফা নির্বাচন হবে না। অবশ্যই নির্বাচনের সময়ে আপনাকে এমন একটা সরকার নিয়ে আসতে হবে, যে সরকার নিরপেক্ষভাবে একটা নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করবে। সেজন্য আমরা সহায়ক সরকারের কথা বলেছি। আমরা বলেছি যে, নির্বাচনকালীন সময়ে একটা নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে।দলীয় সরকার থাকলে কখনোই সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।কিছুদিন পরে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন। আমরা বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগের যদি শুভ বুদ্ধির উদয় হয়ে থাকে, তাহলে সেটা মেনে নিয়ে সত্যিকার অর্থে একটা ইনক্লুসিভ ইলেকশন, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য, সকলের অংশ গ্রহণে একটা নির্বাচন করবেন, দেশকে এই রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্ত করতে।
তিনি আরো বলেন,আজকে কয়েকবছরে বিরোধী দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছেন। ৫ শতের উপরে আমাদের নেতা-কর্মীকে গুম করে দিয়েছেন, হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করেছেন।আজকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী নেতাদের রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার
চেষ্টা করছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ এমন কোনো নেতা-কর্মী
নেই, যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের লোকের ভয় পেয়ে গেছে নির্বাচন যদি হয় তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তারা সকল জরিপে দেখেছে যে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ৩০টা থেকে ৪০টার বেশি আসন পাবে না। সেই কারণে আমরা বলছি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে এবং সকলের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
ইফতার অনুষ্ঠানে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মো. মোকাম্মেল কবীরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র দল নেতাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান তপন, শাহিন শওকত, মতিউর রহমান মন্টু, আমিনুল ইসলাম, রমেশ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ইত্তেফাক