ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধান বিচারপতি দেশে থাকতে অভিযোগ তোলা হয়নি কেন : রিজভী

জাতয়ি ডেস্কঃ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, প্রধান বিচারপতি বিদেশ যাওয়ার পূর্বমুহূর্তে যে বিবৃতি জাতির সামনে তুলে ধরেছেন, সেই অস্থিরতা থেকেই সরকার এখন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এত অভিযোগের নাটক সাজাচ্ছে। আবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেটিও ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। তাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ তো মনে হচ্ছে অনেক পুরোনো। তাহলে প্রধান বিচারপতি দেশে থাকতে এসব অভিযোগ তোলা হয়নি কেন? বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ মর্যাদার আসনটিকে এভাবে কালিমালিপ্ত করার ঘটনা ইতিহাসে আর কখনো ঘটেনি। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, রাষ্ট্রপতি যদি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এত অভিযোগ পেয়েই থাকেন, তাহলে তিনি সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করলেন না কেন এ প্রশ্ন এখন আইন অঙ্গনে ঘুরপাক খাচ্ছে। সর্বোচ্চ আদালতের সর্বসম্মত রায়ের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল হওয়ার কথা।
রিজভী বলেন, নিয়মানুযায়ী প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে অভিযোগগুলো রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের জুডিশিয়াল বিভাগে তদন্তের জন্য পাঠাবেন। তদন্তের শেষে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে বিচারপতিকে অপসারণ করবেন। আর যদি প্রমাণিত না হয়, তাহলে তিনি পদে বহাল থাকবেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি এ ধরনের ব্যবস্থা না নিয়ে তিনি কেন আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিদের নিয়ে বৈঠক করে অভিযোগ শোনালেন, তা এখন আর মানুষের বুঝতে বাকি নেই।
তিনি বলেন, দেশকে স্থায়ী দুঃশাসনের বজ্র আটুনিতে বেঁধে ফেলা হলো। বিচার বিভাগের ওপর আরও নগ্ন হস্তক্ষেপ করে ন্যায় বিচারের পথকে চিরতরে রুদ্ধ করে দেয়া হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এই ঘটনায় গোটা বিচার ব্যবস্থাকেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেয়া হলো।
রিজভী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে গত ১৪ অক্টোবরসহ অব্যাহত বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সরকারি নির্যাতন ও বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হবিব-উন-নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, বিএনপির সহসাংগঠনিক আবদুস সালাম প্রমুখ।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

প্রধান বিচারপতি দেশে থাকতে অভিযোগ তোলা হয়নি কেন : রিজভী

আপডেট সময় ০১:৩৩:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭
জাতয়ি ডেস্কঃ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, প্রধান বিচারপতি বিদেশ যাওয়ার পূর্বমুহূর্তে যে বিবৃতি জাতির সামনে তুলে ধরেছেন, সেই অস্থিরতা থেকেই সরকার এখন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এত অভিযোগের নাটক সাজাচ্ছে। আবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেটিও ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। তাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ তো মনে হচ্ছে অনেক পুরোনো। তাহলে প্রধান বিচারপতি দেশে থাকতে এসব অভিযোগ তোলা হয়নি কেন? বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ মর্যাদার আসনটিকে এভাবে কালিমালিপ্ত করার ঘটনা ইতিহাসে আর কখনো ঘটেনি। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, রাষ্ট্রপতি যদি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এত অভিযোগ পেয়েই থাকেন, তাহলে তিনি সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করলেন না কেন এ প্রশ্ন এখন আইন অঙ্গনে ঘুরপাক খাচ্ছে। সর্বোচ্চ আদালতের সর্বসম্মত রায়ের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল হওয়ার কথা।
রিজভী বলেন, নিয়মানুযায়ী প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে অভিযোগগুলো রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের জুডিশিয়াল বিভাগে তদন্তের জন্য পাঠাবেন। তদন্তের শেষে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে বিচারপতিকে অপসারণ করবেন। আর যদি প্রমাণিত না হয়, তাহলে তিনি পদে বহাল থাকবেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি এ ধরনের ব্যবস্থা না নিয়ে তিনি কেন আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিদের নিয়ে বৈঠক করে অভিযোগ শোনালেন, তা এখন আর মানুষের বুঝতে বাকি নেই।
তিনি বলেন, দেশকে স্থায়ী দুঃশাসনের বজ্র আটুনিতে বেঁধে ফেলা হলো। বিচার বিভাগের ওপর আরও নগ্ন হস্তক্ষেপ করে ন্যায় বিচারের পথকে চিরতরে রুদ্ধ করে দেয়া হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এই ঘটনায় গোটা বিচার ব্যবস্থাকেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেয়া হলো।
রিজভী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে গত ১৪ অক্টোবরসহ অব্যাহত বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সরকারি নির্যাতন ও বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হবিব-উন-নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, বিএনপির সহসাংগঠনিক আবদুস সালাম প্রমুখ।