জাতীয় ডেস্কঃ
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগে সংবিধানে জ্যেষ্ঠতার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা আছে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিবেন। সেখানে কোথাও লেখা নেই যে, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে হবে। রাষ্ট্রপতি তাঁর বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সেই সিদ্ধান্তে আমরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
আজ রবিবার রাজধানীর গুলশানস্থ লেকশোর হোটেলে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন আয়োজিত ‘হিউম্যান রাইটস, সাসটেইনিবিলিটি রিপোর্টিং অ্যান্ড রেসপন্সিবল বিজনেস কনডাক্ট- হোয়াট ডাজ বিজনেস নিড টু নো’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার পদত্যাগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি পদত্যাগ করতেই পারেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনমন্ত্রীর কিছু বলার নেই।
বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে খুব শিগগিরই বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হবে।
নিম্ন আদালত নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যেও পরিপ্রেক্ষিতে আনিসুল হক বলেন, তিনি যে কথা বলেছেন, সেটা অসত্য। আমরা সকলেই বাংলাদেশের বিচার বিভাগের এবং বিচারালয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সেটাই সকলের ব্যক্ত করা উচিত।
তিনি বলেন, আমি দুঃখিত যে তিনি একথা বলেছেন। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ অসত্য। আইনমন্ত্রী বলেন, আগেও বলেছি এখনও বলছি, বিচার হয়েছে আদালতে, সাক্ষ্য প্রমাণ হয়েছে এবং সেই সাক্ষ্য প্রমাণাদি বিশ্লেষণ এবং বিবেচনায় নিয়ে বিচারক রায় দিবেন। এটুকুই জানি, তার বেশি জানি না।
বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক এমপ্লয়ার্স সংস্থার মহাসচিব লিন্ডা ক্রোমজং, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও ডেইলি সান পত্রিকার সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আশরাফ শামীম বক্তৃতা করেন। বাসস