ঢাকা ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফখরুলের প্রস্তাবে রাজি হননি ড. কামাল

জাতীয় ডেস্কঃ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে লড়তে সিনিয়র আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের দ্বারস্থ হয়েছে বিএনপি। কিন্তু ফৌজদারি মামলায় না লড়ার কথা জানিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। তবে খালেদা জিয়ার প্রতি তার সহানুভূতি থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দিকে মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও এই মামলায় বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে লড়া দুই আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান এবং আমিনুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী।

জানতে চাইলে আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা ওনার (ড. কামাল) চেম্বারে গিয়েছিলাম। মামলার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। মামলার একটি অনুলিপিও তিনি রেখেছেন। এ মামলা নিয়ে দেশনেত্রীর (খালেদা জিয়া) প্রতি ওনার সহানুভূতি আছে।

খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলায় লড়তে তিনি রাজি হয়েছেন কিনা, এ প্রশ্নে আমিনুল ইসলাম বলেন, এখানে রাজি-অরাজির বিষয় না। তিনি মামলার অনুলিপি রেখেছেন এবং দেখেছেন।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, তারা স্যারের (ড.কামাল হোসেন) চেম্বারে গিয়েছেন, মামলা নিয়ে ডিসকাশন করেছেন। স্যার মামলার নথি দেখেছেন। ফখরুল সাহেবও ছিলেন। সঙ্গে দুই আইনজীবী ছিলেন।

ড.কামাল হোসেন এ মামলায় লড়তে রাজি হয়েছেন কিনা- এ প্রশ্নে সুব্রত চৌধুরী বলেন, স্যার তো ফৌজদারি মামলা করেন (পরিচালনা) না।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আক্তারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ অর্থদণ্ডের টাকা প্রত্যেককে সমান অঙ্কে প্রদান করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

রায়ের পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তিনি। হাইকোর্ট তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করেছেন। তবে নিম্ন আদালতের নথি আসার পর তার জামিন আবেদনের ওপর আদেশের জন্য সময় রেখেছেন হাইকোর্ট। ওই জামিন আবেদনের শুনানিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক দুই অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও এএফ হাসান আরিফ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

ফখরুলের প্রস্তাবে রাজি হননি ড. কামাল

আপডেট সময় ০২:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে লড়তে সিনিয়র আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের দ্বারস্থ হয়েছে বিএনপি। কিন্তু ফৌজদারি মামলায় না লড়ার কথা জানিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। তবে খালেদা জিয়ার প্রতি তার সহানুভূতি থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দিকে মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও এই মামলায় বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে লড়া দুই আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান এবং আমিনুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী।

জানতে চাইলে আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা ওনার (ড. কামাল) চেম্বারে গিয়েছিলাম। মামলার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। মামলার একটি অনুলিপিও তিনি রেখেছেন। এ মামলা নিয়ে দেশনেত্রীর (খালেদা জিয়া) প্রতি ওনার সহানুভূতি আছে।

খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলায় লড়তে তিনি রাজি হয়েছেন কিনা, এ প্রশ্নে আমিনুল ইসলাম বলেন, এখানে রাজি-অরাজির বিষয় না। তিনি মামলার অনুলিপি রেখেছেন এবং দেখেছেন।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, তারা স্যারের (ড.কামাল হোসেন) চেম্বারে গিয়েছেন, মামলা নিয়ে ডিসকাশন করেছেন। স্যার মামলার নথি দেখেছেন। ফখরুল সাহেবও ছিলেন। সঙ্গে দুই আইনজীবী ছিলেন।

ড.কামাল হোসেন এ মামলায় লড়তে রাজি হয়েছেন কিনা- এ প্রশ্নে সুব্রত চৌধুরী বলেন, স্যার তো ফৌজদারি মামলা করেন (পরিচালনা) না।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আক্তারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ অর্থদণ্ডের টাকা প্রত্যেককে সমান অঙ্কে প্রদান করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

রায়ের পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তিনি। হাইকোর্ট তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করেছেন। তবে নিম্ন আদালতের নথি আসার পর তার জামিন আবেদনের ওপর আদেশের জন্য সময় রেখেছেন হাইকোর্ট। ওই জামিন আবেদনের শুনানিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক দুই অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও এএফ হাসান আরিফ।