জাতীয় ডেস্কঃ
মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ফরম পূরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নেওয়া ‘বর্ধিত ফি’ এক মাসের মধ্যে ফেরত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে ওই বর্ধিত ফি ফেরত না দিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। একইসঙ্গে স্থগিত কমিটির কোনো সদস্য পরবর্তী তিন বছর আর কমিটিতে আসতে পারবে না। এ সংক্রান্ত এক রুলের শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বুধবার এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান শুনানি করেন।
পরে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি বর্ধিত ফি আদায়ের কিছু অভিযোগ আদালতের নজরে আসে। এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বাড়তি ফি যাতে আদায় না করা হয় সেজন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিলো আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় আদেশের জন্য ছিলো মামলাটি। আদেশে আদালতে বলেছে, নির্ধারিত ফি’র বাইরে কোনো ধরনের ফি যেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় না করা হয়। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কঠোরভাবে বিষয়টি মেনে চলতে বলা হয়েছে। যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আদালতের এই আদেশ অমান্য করে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আর অতিরিক্ত ফি না দেওয়ার জন্য কোনো শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা থেকে বিরত রাখা যাবে না বলেও বলেছে আদালত।
২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘এসএসসি ফরম পূরণ শুরু: আটগুণ বাড়তি ফি আদায়’ শীর্ষক প্রতিবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে। রুলে অতিরিক্ত ফি আদায় কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অতিরিক্ত ফি আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। ওই রুল নিষ্পত্তি করে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণে বাড়তি ফি আদায় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।