ঢাকা ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফলের জুসে কমবে স্ট্রোকের ঝুঁকি

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

টাটকা ফলের রস খেতে ভালোবাসেন? নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস আছে? যদি না থাকে করে নিন অভ্যেস। রোজ অন্তত এক গ্লাস করে খান অরেঞ্জ জুস বা অন্য কোনো ফলের রস।  আপনি খানিকটা হলেও এড়াতে পারবেন ব্রেন স্ট্রোকের আশঙ্কা। নতুন একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, যারা রোজ অন্তত এক গ্লাস ফলের রস খান, তাদের মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধা বা ক্লট করার সম্ভাবনা কম সে কম চব্বিশ-পঁচিশ শতাংশ কমে যায়।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততায় সব সময়ে ফলের রস বের করে খাওয়ার সময় থাকে না। তাই দোকানে যে জুস কিনতে পাওয়া যায়, সেটাই কেনা সুবিধাজনক।  কিন্তু ইদানীং আমাদের অনেকের মধ্যে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে, এই কেনা জুসে ফলের রসের সঙ্গে এত সুগার শরীরে ঢোকে, যেটা উল্টে শরীরের ক্ষতি করে।  এই ধারণা থেকেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটেনে জুস বিক্রির পরিমাণ বিপুলভাবে কমে গেছে। কিন্তু নতুন এই ডাচ সমীক্ষা জানাচ্ছে, শরীরে চিনি একটু ঢুকলেও ফলের টাটকা রসের স্ট্রোক আটকানোর ভূমিকাকে মোটেই উপেক্ষা করা যায় না।
নেদারল্যান্ডস-এর বিল্টভেনে ‘ ডাচ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক হেলথ অ্যান্ড দি এনভায়রনমেন্ট’-এর বিজ্ঞানীরা গত পনেরো বছর ধরে ৩৫০০০ পুরুষ ও মহিলার উপরে এই সমীক্ষা চালিয়েছেন, যাদের বয়স ২০ থেকে ৭০ তাদের এই সমীক্ষা ও গবেষণার ফল বেরিয়েছে ‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশন’ পত্রিকায়।  যেখানে বলা হচ্ছে, যাদের সপ্তাহে চার থেকে আট গ্লাস ফলের রস খাওয়ার অভ্যেস আছে, তাদের ব্রেন স্ট্রোকের সম্ভাবনা এক চতুর্থাংশ কমে।  আর যারা এক দিন অন্তর এক দিন জুস খান, তাদের ক্ষেত্রে কমে ২০ শতাংশ।  শুধু ব্রেন স্ট্রোক না, নিয়মিত ফলের রস পান করেন যারা, তাদের হার্ট এর রোগের ঝুঁকি, ধমনীতে ব্লক হওয়ার সম্ভাবনাও অন্তত ১২/১৩ শতাংশ কমে যায়।

 

গোটা পৃথিবীতেই ব্রেন স্ট্রোক একটা আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রিটেনে যেমন দিনে ২০০ লোক এই রোগে মারা যান। বাকিরা পঙ্গুত্বের শিকার হন।  এদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ আক্রান্ত হন ইস্কিমিক স্ট্রোকে।  যখন একটা ক্লট ব্রেনে গিয়ে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ করে দেয়। বাকিরা আক্রান্ত হন হেমারেজিক স্ট্রোকে, যখন মস্তিষ্কের মধ্যেই ফেটে যায় ব্লাড ভেসেল, আর শুরু হয়ে যায় প্রাণঘাতী রক্তক্ষরণ।

এই সমীক্ষায় জুস খাওয়ার পক্ষে বলা হলেও, বিজ্ঞানীরা কিন্তু তবু বলছেন, সবচেয়ে ভালো হয় যদি গোটা ফল খাওয়া যায়।  কারণ গোটা ফল ছাড়িয়ে বা কামড়ে খেলে তার যে উপকার, তার সুনির্দিষ্টতা বার বার যাচাই হয়েছে আগের একাধিক পরীক্ষায়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

ফলের জুসে কমবে স্ট্রোকের ঝুঁকি

আপডেট সময় ১২:৩২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০১৯
লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

টাটকা ফলের রস খেতে ভালোবাসেন? নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস আছে? যদি না থাকে করে নিন অভ্যেস। রোজ অন্তত এক গ্লাস করে খান অরেঞ্জ জুস বা অন্য কোনো ফলের রস।  আপনি খানিকটা হলেও এড়াতে পারবেন ব্রেন স্ট্রোকের আশঙ্কা। নতুন একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, যারা রোজ অন্তত এক গ্লাস ফলের রস খান, তাদের মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধা বা ক্লট করার সম্ভাবনা কম সে কম চব্বিশ-পঁচিশ শতাংশ কমে যায়।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততায় সব সময়ে ফলের রস বের করে খাওয়ার সময় থাকে না। তাই দোকানে যে জুস কিনতে পাওয়া যায়, সেটাই কেনা সুবিধাজনক।  কিন্তু ইদানীং আমাদের অনেকের মধ্যে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে, এই কেনা জুসে ফলের রসের সঙ্গে এত সুগার শরীরে ঢোকে, যেটা উল্টে শরীরের ক্ষতি করে।  এই ধারণা থেকেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটেনে জুস বিক্রির পরিমাণ বিপুলভাবে কমে গেছে। কিন্তু নতুন এই ডাচ সমীক্ষা জানাচ্ছে, শরীরে চিনি একটু ঢুকলেও ফলের টাটকা রসের স্ট্রোক আটকানোর ভূমিকাকে মোটেই উপেক্ষা করা যায় না।
নেদারল্যান্ডস-এর বিল্টভেনে ‘ ডাচ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক হেলথ অ্যান্ড দি এনভায়রনমেন্ট’-এর বিজ্ঞানীরা গত পনেরো বছর ধরে ৩৫০০০ পুরুষ ও মহিলার উপরে এই সমীক্ষা চালিয়েছেন, যাদের বয়স ২০ থেকে ৭০ তাদের এই সমীক্ষা ও গবেষণার ফল বেরিয়েছে ‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশন’ পত্রিকায়।  যেখানে বলা হচ্ছে, যাদের সপ্তাহে চার থেকে আট গ্লাস ফলের রস খাওয়ার অভ্যেস আছে, তাদের ব্রেন স্ট্রোকের সম্ভাবনা এক চতুর্থাংশ কমে।  আর যারা এক দিন অন্তর এক দিন জুস খান, তাদের ক্ষেত্রে কমে ২০ শতাংশ।  শুধু ব্রেন স্ট্রোক না, নিয়মিত ফলের রস পান করেন যারা, তাদের হার্ট এর রোগের ঝুঁকি, ধমনীতে ব্লক হওয়ার সম্ভাবনাও অন্তত ১২/১৩ শতাংশ কমে যায়।

 

গোটা পৃথিবীতেই ব্রেন স্ট্রোক একটা আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রিটেনে যেমন দিনে ২০০ লোক এই রোগে মারা যান। বাকিরা পঙ্গুত্বের শিকার হন।  এদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ আক্রান্ত হন ইস্কিমিক স্ট্রোকে।  যখন একটা ক্লট ব্রেনে গিয়ে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ করে দেয়। বাকিরা আক্রান্ত হন হেমারেজিক স্ট্রোকে, যখন মস্তিষ্কের মধ্যেই ফেটে যায় ব্লাড ভেসেল, আর শুরু হয়ে যায় প্রাণঘাতী রক্তক্ষরণ।

এই সমীক্ষায় জুস খাওয়ার পক্ষে বলা হলেও, বিজ্ঞানীরা কিন্তু তবু বলছেন, সবচেয়ে ভালো হয় যদি গোটা ফল খাওয়া যায়।  কারণ গোটা ফল ছাড়িয়ে বা কামড়ে খেলে তার যে উপকার, তার সুনির্দিষ্টতা বার বার যাচাই হয়েছে আগের একাধিক পরীক্ষায়।