খেলঅধূলা ডেস্কঃ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ আগেই ফাইনালে উঠে গেছে। সেই ক্যারিবিয় দলটাকেই গতকাল দ্বিতীয়বারের মতো হারিয়ে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। গতকাল সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
জয়টা আসে মুস্তাফিজুর রহমানের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে। মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল বাংলাদেশ। সর্বশেষ দুই ম্যাচে ৯৩ ও ৮৪ রান খরচ করেছিলেন তিনি। অবশেষে স্বরূপে ফিরেছেন মুস্তাফিজ। গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩ রান ব্যয় করে তুলে নিলেন ৪ উইকেট।
সেইসঙ্গে মাশরাফি ৩ উইকেট নিলেন এবং সাকিব আল হাসান দারুণ কৃপণ বোলিং করলেন। বোলারদের এই দাপটে আয়ারল্যান্ডে চলমান ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৪৭ রান করতে পারে। জবাবে বাংলাদেশ ৪৭.২ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
২৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার। বিনা উইকেটে ৫৪ রান তোলে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। তামিম ২১ রান করে আউট হয়ে যান। এরপর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আরো একটা ভালো জুটি করেন সৌম্য। সাকিব ২৯ রান করে ফেরেন। পরপর ৫৪ রান করে ফিরে আসেন সৌম্য; এটা তার টানা দ্বিতীয় ফিফটি।
দ্রুত এই তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিম। ৮৩ রানের জুটি করেন এই দু জন। ৪৩ রান করে মিঠুন আউট হওয়াতে জুটি ভাঙে। এরপর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে আরেকটা ভালো জুটি করেন মুশফিক। তিনি ৬৩ রান করে ফেরেন। মাহমুদউল্লাহ ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন।
আগে ব্যাট করা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দারুণ ভিত্তি এনে দিয়েছিলেন সেই হোপ। এই টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরির কাছে চলে গিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত মাশরাফির বলে ৮৭ রান করে আউট হন হোপ। হোপের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ১০০ রান যোগ করে লড়াইটা ধরে রেখেছিলেন অধিনায়ক হোল্ডার। তিনিও মাশরাফির শিকার হওয়ার আগে ৬২ রান করেন। এরপর আর কেউ সেভাবে রুখে দাঁড়াতে পারেননি।
১০ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া সাকিবই আটকে রেখেছিলেন ক্যারিবিয়দের রানের চাকা। তবে উইকেট শিকারে সবাইকে ছাপিয়ে যান মুস্তাফিজ। তিনি শেষ ওভারে ২টিসহ মোট ৪ উইকেট তুলে নেন ৪৩ রান খরচ করে। মেহেদী হাসান মিরাজও ১০ ওভারে ৪১ রান ব্যয় করে ভূমিকা রেখেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আটকে রাখায়। আর অধিনায়ক মাশরাফি ৬০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।