অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
রাস্তায় মুসলিমরা জুম্মা নামাজ পড়ায় ১০০ জন ফরাসি রাজনীতিবিদ নামাজ আদায়কারীদের বাধা দিয়েছেন। প্যারিসের শহরতলী ক্লিচির মেয়র রেমি মুজোর নেতৃত্বে নামাজ আদায়কারীদের বাধা দেন।
এতে দুই পক্ষেরই কেউ আহত হয়নি, তবে এতে ফ্রান্সে মসজিদের অপ্রতুলতার বিষয়টা উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, ফ্রান্সে প্রায় ৫০ লাখ মুসলিম রয়েছে পশ্চিম ইউরোপের কোনো দেশের জন্য যা সর্বোচ্চ।
‘রাস্তায় অবৈধ প্রার্থনা বন্ধ কর’ লেখা বিশাল ব্যানার নিয়ে রেমি মুজো শতাধিক বিক্ষোভকারী নিয়ে এসে শুক্রবার শহরের মার্কেট স্কয়ারে নামাজ আদায়কারীদের বাধা দেন। কয়েক মাস আগে নামাজ পড়ার জায়গা বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে সেখানে জুম্মার নামাজ আদায় করে আসছিল। বর্তমান মেয়র সেটিকে লাইব্রেরিতে পরিণত করেছেন। ক্লিচি সিটি হল জানিয়েছে, মুসলিমরা নবনির্মিত ইসলামিক কালচারাল অ্যান্ড প্রেয়ার সেন্টারে নামাজ আদায় করতে পারে যা গত বছর উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে কয়েকজন মুসলিম দাবি করেছেন, ওই মসজিদ অনেক দূরে অবস্থিত এবং ছোট। ভবন নির্মাণের সেফটি স্ট্যান্ডার্ডও মানা হয়নি সেটিতে।
এই বিক্ষোভের মধ্যেই কয়েকজন মুসলিম নামাজ আদায়ের চেষ্টা করছিল একটু আড়ালে গিয়ে। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের চাপে তারা পেছাতে পেছাতে একটি কাঠের দেয়ালে গিয়ে ঠেকেন। নামাজ আদায়কারীরা আল্লাহু আকবর বলে নামাজ শুরু করলে বিক্ষোভকারীরা জোরে জোরে ফ্রান্সের জাতীয় সংগীত গাওয়া শুরু করে। এদের কেউ ফ্রান্সের পতাকা কেউ ক্রুশ নিয়ে এসেছিলেন।
ধাক্কাধাক্কির মধ্যে ‘ইউনাইটেড ফর অ্যা গ্র্যান্ড মস্ক অব ক্লিশি’ নামের একটি ব্যানার ছিড়ে ফেলা হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারী ও নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে আসা মুসলিমদের মধ্যে মানবঢাল তৈরি করে। এরপরে মুসলিমরা নামাজের বিছানা বিছিয়ে ও নামাজ আদায় করে। নামাজ শেষ হওয়ার পরে মুসলিমরা হাততালি দিয়ে সেটা উদযাপন করে। আর মেয়র রেমি বলেছেন, তারা আগামী সপ্তাহেও আবার ফিরে আসবেন। তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে প্রত্যেক শুক্রবারে আমরা ফিরে আসব। আমাকে শহরের নাগরিকদের শান্তি ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের দেশে এটা হতে দিতে পারি না। আমাদের ফরাসি রিপাবলিকের বদনাম হচ্ছে।
ক্লিচির মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও ইমাম হামিদ কাজেদ বলেন, আমরা নির্দিষ্ট নামাজ পড়ার জায়গার বিষয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা এটা অব্যাহত রাখব। এপি।