মনির খাঁনঃ
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ৩নং উত্তর খোশবাস ইউনিয়নের দেওয়াননগর ( ফতেহারপাড়) গ্রামে মোসাম্মৎ সাথী আক্তার(১৪) নামে এক কিশোরী ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার(২৭ মে) ভোর সাড়ে ৩ টায় নিজ থাকার ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুঁলে আত্নহত্যা করে।
সাথী আক্তার বরুড়া উপজেলার ৩নং খোশবাস ইউনিয়নের দেওয়াননগর(ফতেহারপাড়) গ্রামের প্রবাসী রবিউলের একমাত্র মেয়ে ও একই বাড়ির রুবেল হোসেনের নবাগত স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,পরিবারে স্বামী, স্ত্রী, এক পুত্র ও কন্যা নিয়ে তাদের সংসার।স্বামী ও পুত্র দুজনে চাকরি নিয়ে প্রবাস জীবন যাপন করছে।ঘরে মা ও মেয়ে একসাথে থাকে কিছুদিন পূর্বে বাড়ির পাশে প্রতিবেশি ময়নালের ছেলে প্রবাসী রুবেলের সাথে মুঠোফোনে বিয়ে হয়েছিল। স্বামী রুবেল হোসেন জীবিকার তাগিদে প্রবাসে আছে। হটাৎ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মা যখন সেহরী খেতে অন্য কক্ষে যায়। মায়ের অজান্তে মেয়ে সাথী থাকার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেছিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। মা পাঁশের কক্ষ থেকে সেহরী খেয়ে এসে দেখে দরজা বন্ধ। পরে দরজার নিচ দিয়ে তাকিয়ে দেখে মেয়ে ফ্লোরে পড়ে আছে। পরে মা দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে দেখে মেয়ের নিথর দেহ পড়ে আছে।এ অবস্থা দেখে মেয়ের মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। পরে প্রতিবেশীরা বরুড়া পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাঁশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন প্রতিবেশীরা জানান,মেয়েটি অনেক শান্ত।গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যার কোন কারন নেই।আমরা এ মৃত্যুটা রহস্যজনক মনে করি।আমরা চাই প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত বের করে দোষীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
বরুড়া পুলিশের উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন,আমি খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে সুরতহাল তৈরি করে লাঁশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে”।